প্রকাশিত: ১৬/০১/২০১৯ ৭:২৭ এএম

জসিম মাহমুদ :
উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা রোহিঙ্গাদের মধ্যে জলবসন্ত (চিকেন পক্স) রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহে এ রোগে আটশতাধিক রোহিঙ্গা আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জেন মো. আব্দুল মতিন।
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন, এটা একটি খুবই ছোয়াছে রোগ। এ রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় প্রায় একটানা এই অস্বস্তিকর অবস্থা থাকে। প্রথমে সামান্য জ¦র হতে পারে, এরপর ফোস্কা পড়ে, চুলকানি এবং অবশেষে ফোস্কা থেকে শুকনো মরা চামড়া উঠে আসে। এ রোগটি লক্ষণ হলো-গায়ে প্রচন্ড জ্বর, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পানি ফুরার মতো দেখা দেয়। এটিতে আক্রান্ত হলে প্রচুর চুলকানি ও শরীর ব্যথা অনুভব করে। এটা হলো রোগটি চেনার সহজ উপায়।
গতকাল বিকেলে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে দেখা, শিশু সন্তানের কোলে নিয়ে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরে আসছিলেন নুর বেগম।
আলী আহম্মদ বলেন, সাতজন পরিবারে সদস্য রয়েছে। এরমধ্যে ছোট শিশু সন্তানটি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে শিশুটিকে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। অপরাপর সন্তানদেরও নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান আবদুল মতলব বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শিবিরের বিভিন্ন স্থানে এ রোগটি দেখা দিয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জেন মো আব্দুল মতিন বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে এ রোগের প্রাদুর্ভার দেখা দিয়েছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (এমওএইচ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য খাতের অংশিদাররা প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য উখিয়া-টেকনাফে পৃথক ভাবে প্রশিক্ষণ শুরু করা হচ্ছে। তবে আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। এ রোগে রোহিঙ্গা বেশি আক্রান্ত হলেও এ পর্যন্ত কেহ মারা গেছে সে রকম কোনো তথ্য স্বাস্থ্য বিভাগে নেই।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...