প্রকাশিত: ১৮/১০/২০২০ ৭:৩৬ পিএম

রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনে ফিলিপাইনের সমর্থন চায় বাংলাদেশে। রোববার (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেন্তে ভিভেনসিও টি বান্দিলোর সাথে সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে ২০১৬ সালে একটি সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে চুরি যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ফিলিপিন্সের সমর্থন চান তিনি।

ড. মোমেন হ্যাকারদের দ্বারা চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তার জন্য ফিলিপাইন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এবং বাকী অর্থ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ফিলিপিনো সরকার সমর্থন অব্যাহত রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত বান্দিলো অর্থ পুনরুদ্ধারের ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সম্পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ফিলিপিনো সরকার অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অর্থ-পাচার একটি বিশাল জাতীয় সমস্যা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ফিলিপাইন মিয়ানমারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উপভোগ করে। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তার প্রভাব খাটানো উচিত। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভীতি দূর করার জন্য বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে আসিয়ান নেতৃত্বাধীন অ-সামরিক বেসামরিক পর্যবেক্ষক দল গঠনের প্রস্তাব করে আসছে তবে মিয়ানমার এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসেনি। তিনি সতর্ক করে দেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা না গেলে উগ্রপন্থীরা বাস্তুচ্যুত হওয়ার সুযোগ নিতে পারে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা অবশ্যই হুমকির মুখে পড়বে।

ড. মোমেন ফিলিপাইনকে মিয়ানমারকে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করার জন্য সমস্ত আসিয়ান সদস্যদের সাথে নিয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন।

বিশেষত নার্সিং, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সামুদ্রিক ক্ষেত্রের ক্ষেত্রে ফিলিপিন্সকে বিশ্বে শ্রেষ্ঠ হিসাবে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যত তাড়াতাড়ি ফিলিপিন্সের সাথে নার্সিং শিক্ষার বিষয়ে মুলতুবি সমঝোতা স্বাক্ষর করতে আগ্রহী এবং শিক্ষার্থী ও কর্মী নার্সদের বিনিময় কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত শিগগিরই সমঝোতা স্মারক সমাপ্ত করার জন্য মন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় কাজ করার আশ্বাস দেন।

পাঠকের মতামত