প্রকাশিত: ০৮/০২/২০১৭ ৮:৪২ এএম

রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়ার পাঠানো ত্রাণবাহী জাহাজটি ‘নিরাপত্তার’ কারণে বাংলাদেশের টেকনাফ বন্দরে নোঙর করতে পারছে না। মিয়ানমারের জন্য মালয়েশিয়ার ফুড ফ্লোটিলা প্রকল্পের প্রধান আবদুল আজিজ রহিম এ খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমি একটি ফ্যাক্স পেয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, কৌশলগত কারণে খাদ্য ও ওষুধ সামগ্রীর বহর নটিক্যাল অ্যালিয়াকে টেকনাফে নোঙর ফেলার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। খবর স্ট্রেইট টাইমসের।

আজিজ আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে যে আমাদের জাহাজ অনেক বড় হওয়ায় টেকনাফ বন্দরের জাহাজঘাটে এটি নোঙর করা সহজ হবে না। এ ছাড়া ওই ফ্যাক্সে নিরাপত্তার কারণটিও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ফুড ফ্লোটিলার বহরটি নোঙর করার জন্য বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৩টি বন্দরকে সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলো হল : সেন্টমার্টিন, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দর।

আজিজ বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সুপারিশকৃত ৩ বন্দরের কোনোটাতে জাহাজটি নোঙর করার অনুমতি নেই স্বেচ্ছাসেবী কর্মী বা মেডিকেল কর্মকর্তাদের। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে বলেন, আমি এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নাজিব রাজাকের হস্তক্ষেপ আশা করছি। আমি মনে করি টেকনাফে জাহাজটি ভেড়ানোর গুরুত্ব সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে বোঝাতে সক্ষম হবেন তিনি। মালয়েশিয়া থেকে খাবার ও ওষুধসহ অন্যান্য প্রায় ৫০০ টন প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার যাত্রা শুরু করে নটিক্যাল অ্যালিয়া। মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের নদীতে প্রবেশ করে জাহাজটি।

রোহিঙ্গা নিপীড়নের খবরে যুক্তরাষ্ট্র ‘গভীরভাবে বিক্ষুব্ধ’ : রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর মিয়ানমারের সেনাদের নিপীড়নের যে চিত্র জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাতে ‘গভীরভাবে বিক্ষুব্ধ’ যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়। পররাষ্ট্র দফতরের নারী মুখপাত্র কাটিনা অ্যাডামস বলেন, প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের স্থানীয় জনগণের সুরক্ষার বিষয়ে আরও জোরালো এবং দ্বিগুণ প্রচেষ্টা বাড়ানোর জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন নাকচ মিয়ানমারের : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা নাকচ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির স্টেট কমিশন জানায়, এ অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য নয়। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই কমিশন জানায়, জাতিসংঘ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন ‘ভিত্তিহীন এবং সেখানে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে’।

পাঠকের মতামত