প্রকাশিত: ২৪/১১/২০২০ ৯:০১ এএম

চুক্তির ৩ বছরেও শুরু করা যায়নি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। কারণ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকার করছে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ওপর আর আস্থা রাখা যাচ্ছে না। উপায় আন্তর্জাতিক চাপ বাড়িয়ে বহু-পক্ষীয় উদ্যোগ। তবে সেখানেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা হতাশাজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ শুরুর পর ওই বছরই ২৩ নভেম্বর নাইপিদোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে চুক্তি। কিন্তু কাগজে কলমে করা চুক্তির বাস্তব কার্যকারিতা আসেনি এখনো। চুক্তি অনুযায়ী, ৩ মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা।

এ নিয়ে কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে, তালিকাও প্রস্তুত করে দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ফল শূন্য।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা বারবার প্রতিজ্ঞা করে নিয়ে যাবে, কিন্তু আর কিছু বলে না। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র চীন, জাপান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের চাপ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ভরসা করছে প্রভাবশালী দেশগুলোর ওপর। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে চীন, রাশিয়া। ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত, জাপানের মতো দেশ। সব মিলে তাদের সাম্প্রতিক ভূমিকা আশাবাদী করতে পারছে না বিশ্লেষকদের।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, গণহত্যার মতো বিষয়গুলো দ্বিপক্ষীয় থাকে না। সে জায়গায় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ ধীরগতির। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে ভূমিকা রাখছে তাও দুঃখজনক।
আরও পড়ুনঃ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর
এদিকে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিক সহায়তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা ঠিক নয়। মিয়ানমার খুব ভালো করেই জানে চীন ও ভারত তাদের পাশে থাকবে। পশ্চিমা দেশগুলোও তাদের সমর্থন দিচ্ছে বিভিন্নভাবে।
মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ায় চীনের উদ্যোগে আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাপানও সহযোগিতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পাঠকের মতামত

আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ...