প্রকাশিত: ১৬/১১/২০১৮ ৩:০৭ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে না পারার জন্য বাংলাদেশকেই দায়ী করছে মিয়ানমার। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মিন্ট থু রাজধানী নেপিদুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দোষারোপ করেছেন।

মিন্ট থু দাবি করেছেন, বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন চুক্তি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে এবং প্রত্যাবাসন তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদেরকে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি জানানো হয়নি।

তিনি বলেন, ‘দুই দেশ যে বিষয়টিতে ঐক্যমত হয়েছিল বাংলাদেশ সেই আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কর্মসূচি মেনে চলা হয়েছিল।’

মিয়ানমার সরকারের এই কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া উত্তর রাখাইনের তিন ধরণের শরণার্থী আছে। এদের একাংশ মিয়ানমারে ফিরতে চায় না বরং তারা তৃতীয় কোনো দেশে যেতে চায়, আরেকাংশ গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতায় জড়িত ও ফিরতে চায় না এবং তৃতীয় অংশটি হচ্ছে যারা মিয়ানমারে স্বজনদের কাছে ফিরতে চায়।

মিন্ট থু বলেন, ‘প্রথম দুই ধরণের শরণার্থী ফিরতে না।  আমরা অবশ্যই যাচাইকৃত শরণার্থীদের চুক্তি অনুযায়ী গ্রহণ করব।’

তবে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সদস্য ইউ আয়ে লিউন জানিয়েছেন, শরণার্থীদের ফেরাটা যে তাদের জন্য নিরাপদ হবে সেটা মিয়ানমারকে প্রমাণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘নিজের দেশে ফিরতে চায় না এমন কেউ নেই। প্রত্যেকেই নিজের মাতৃভূমিতে ফিরতে চায়। সরকার যদি শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও  জীবিকার নিশ্চয়তা দেয় তাহলে সেটা সমস্যাটি সহজ হয়ে যাবে।’

চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করায় এসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত