প্রকাশিত: ০১/১০/২০১৭ ১:৪৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৪৯ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ত্রাণসামগ্রী ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চট্টগ্রাম লরেল একাডেমি।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের থাইংখালীর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি লায়ন মো. মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তার ও নার্সসহ ৪০ সদস্যের একটি টিম সম্প্রতি এ ত্রাণসামগ্রী ও চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল ২ হাজার পিস কাপড়, ২ হাজার নবজাতক শিশুর জন্য তরল দুধ ও মায়ের জন্য পাউরুটি এবং ৩ হাজার অসুস্থ রোহিঙ্গাদের জন্য ওষুধ।

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও লরেল একাডেমির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহবুবা সুলতানা, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল হামিদ, রেজিস্ট্রার নাজিমুদ্দিন সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম মানবাধিকার সংস্থার সাবেক সেক্রেটারি মুক্তা সরকার, আফরিন মিথিলা, লাকী ও ছোট্ট শিশু শিরোপা।

মাহবুবা সুলতানা জানান, অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করতে পেরে মানসিক প্রশান্তি পেয়েছি। গাড়ি থেকে নেমে উখিয়া থেকে তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে দুর্গম এলাকায় পৌঁছে তাদের কাছাকাছি গেছি। ওদের দুঃখ-কষ্টের নানা অজানা কথা জানার চেষ্টা করেছি। অন্তত একটা দিন ওদের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের কথা শুনেছি। যা চরম মানবিক বিপর্যয়। সরকারের পক্ষে রোহিঙ্গাদের একা সামাল দেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। তাই যথাসাধ্য যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা যেভাবে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে, তা প্রশংসার দাবিদার।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মুখে হাসি ফোটাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন লরেল একাডেমি পরিবারের সদস্য শহিদুল ইসলাম বিপ্লব, ভয়েস অব হিউমেনিটির চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসান প্রমুখ।

পাঠকের মতামত

নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এখন বিসিএস ক্যাডার

গল্প-আড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়জীবনটা উপভোগের সুযোগ আবদুল মোত্তালিবের হয়নি। দুপুর গড়ালেই তাঁকে ছুটতে হতো কাজে। অসচ্ছলতার কারণে ...