প্রকাশিত: ০৭/১২/২০১৭ ৪:২৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:০১ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য বরাদ্দকৃত তিন হাজার একর জমিতে পাঁচটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ।

রোহিঙ্গাদের জানমালের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ও পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে সদ্য বাংলাদেশে প্রবেশকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি অংশ। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন জরুরি। ৫টি ক্যাম্পে ৫ জন ওসি’র অধীনে ৫০০ জন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে বলে জানিয়েছে সূত্র।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম ) খালেদ মাহমুদ বলেন, উখিয়ায় বর্তমানে ২০টি ব্লকে রোহিঙ্গারা অবস্থান করেছেন। প্রতি ৪ ব্লকে একটি ক্যাম্পে একজন ইনস্পেক্টর ( ওসি ) এর অধীনে প্রাথমিকভাবে ১০০ জন পুলিশ সদস্য কাজ করবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিললেই আরআরআরসি ও ইউএনএইচসিআর এর সহযোগিতায় সেখানে ক্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, উখিয়ার কুতুপালংয়ে ৫টি পুলিশ ক্যাম্প করা হবে। এর জন্য জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ওই ৫টি ক্যাম্প উখিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাজ করবে বলেও তিনি জানান। এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছে পুলিশ ক্যাম্প করার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে দ্রুত তাদের জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার ।রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন পুলিশের চেকপোস্ট তিনি বলেন, উখিয়ার বালুখালি, লম্বারশিয়া, তাজমিয়ারঘোনা, কুতুপালং এবং লম্বারশিয়া ও তাজমিয়ারঘোনার মাঝখানে একটিসহ মোট পাঁচটি ক্যাম্প করা হবে।

এ বিষয়ে রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের দ্রুত রাখাইনে ফেরত পাঠানো দরকার। এর ব্যত্যয় ঘটলে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা দুঃসহ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, যতদিন তাদেরকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না ততদিন তাদেরকে এক জায়গায় রাখতে হবে। এর জন্য রোহিঙ্গা বস্তির চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ জরুরি। নতুবা এই গোষ্ঠীটি যেকোনো স্থান দিয়ে স্থানীয়দের সাথে মিশে যাবে অতীতের মত।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দোজা বলেন, রোহিঙ্গা বস্তিতে সীমানা প্রাচীর বা কাঁতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ চেয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, এত অল্প সময়ে বিশ্বের কোন দেশ এত আশ্রয়হীন মানুষকে আশ্রয় দেয়নি। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে আমরা খাবার ,আশ্রয় ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। এবার তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সেখানে ৫টি পুলিশ ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে পুলিশ ক্যাম্পের সমস্ত কাজ শেষ করা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।সুত্র: বাংলানিউজ

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...