প্রকাশিত: ২১/০২/২০১৮ ৮:১৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৬:২১ এএম

সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প ভিত্তিক মৌসুমী হাটবাজারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পারছে। রোহিঙ্গা ইস্যুকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে বেশ কিছু সন্ত্রাসীচক্রের নিয়ন্ত্রণে চলছে এসব হাটবাজার। কোন নীতিমালা না থাকায় এসব হাটবাজারে প্রতিনিয়ত অপরাধ প্রবণতা ও সহিংসতার মতো হিংসা ঘটনা ঘটছে বলে রোহিঙ্গাদের অভিযোগ। এসব হাটবাজার গুলোতে প্রকাশ্যে বিত্রিু হচ্ছে লোহার রড়,দা চুরি কুড়াল। এতে রোহিঙ্গাদের মাঝে মত বিরোধে এসব ধারালো অস্ত্র ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনমনেও রিবাজ করছে উদ্বেগ,আতংক।

রোহিঙ্গা নেতাদের অভিযোগ ২৫ আগষ্টের পর থেকে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প ভিত্তিক প্রায় অর্ধশতাধিক মৌসুমী হাটবাজার গড়ে উঠেছে। যে সমস্ত হাটবাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা সাধারণের মৌসুমীচক্রের অংশ বিশেষ। এসব ব্যবসায়ীরা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সামগ্রী নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় বাজারে বিক্রি করছে। পাশাপাশি মদ,গাজা, ইয়াবা সহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় পণ্য সামগ্রী এসব বাজারে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিক্রির নামে গড়ে উঠা এসব হাটবাজার থেকে সরকারি ভাবে কোন প্রকার রাজস্ব আদায় করা না হলেও এক শ্রেণীর প্রভাবশালী সন্ত্রাসীচক্র এসব হাটবাজার থেকে নিয়মিত টোলের নামে চাঁদা আদায় করছে বলে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মাঝি খালেদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার ব্লুকে গড়ে উঠা বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে রমযান আলী নামের এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়। তিনি আরো জানান, রাতভর দোকানে আড্ডা জমিয়ে সন্ত্রাসীরা মাদক সেবন করে বিভিন্ন অপরাধ জনিত কর্মকান্ড ঘটিয়ে থাকে। যা স্থানীয় ভাবে মিমাংশা হলেও পক্ষে-বিপক্ষে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজমান থেকে যাচ্ছে।
সরজমিন পরিদর্শন কালে দেখা গেছে,দিনে ছাড়াও রাতের আধারে এসব বাজারে বিত্রিু হচ্ছে ধারালো অস্ত্র। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে লোহার রড়,চুরি,কুড়াল ও দা। রোহিঙ্গারা এসব ধারালো অস্ত্র কিনে নিচ্ছে বাজার থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রোহিঙ্গা জানান,নিরাপত্তার খাতিরে তারা বাড়ীতে এসব ধারালো অস্ত্র রেখে থাকে। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক বাজারগুলোতে এসব ধারালো অস্ত্রের চাহিদাও ব্যাপক। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। এসব অস্ত্রে আঘাতে ঘুন হয়েছে একাধিক ব্যাক্তি। তাছাড়া মিয়ানমারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ক্যাম্পে এসে অনেকেই প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসব ধারালো অস্ত্রে ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্যাম্প থাকা শান্তপ্রিয় রোহিঙ্গাদের মাঝে ভয় ছাড়াও স্থানীয়দের মাঝে রয়েছে উৎকন্ঠা।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারন সম্পাদক পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চেীধুরী জানান, আমার ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশী রোহিঙ্গার অবস্থান । রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রকাশ্যে এসব ধারালো অস্ত্র বিত্রিু ও ব্যবহার বাড়ার ফলে স্থানীয় জনগনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরাও আতংকিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীকে অভিযোগ করে জানান, ক্যাম্পে গড়ে উঠা অবৈধ হাটবাজার গুলোতে দা, ছুরিসহ বিভিন্ন দারালো অস্ত্র সামগ্রী প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। এসমস্ত অস্ত্র বিক্রি হওয়ার কারনে এনজিওকর্মীরা বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে যে কোন হিংসাত্মক ঘটনা এসমস্ত হাতে বানানো দারালো অস্ত্র ব্যবহৃত হওয়ার আশংখা করছে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...