প্রকাশিত: ২২/০৭/২০১৯ ৮:১৯ এএম , আপডেট: ২২/০৭/২০১৯ ৮:২০ এএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে কাটাঁ তারের বেড়া সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত ইয়াবার চালান পৌছে দিচ্ছে রাখাইনের ইয়াবা সিন্ডিকেট। পরে স্থানীয় ইয়াবা কারবারি ও রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে এসব ইয়াবার চালান বালুখালী, কুতুপালং, তাজনিমার খোলা ও ময়নার ঘোনা ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে মজুদ হচ্ছে। সুযোগ বুঝে পাচারকারীর মাধ্যমে এসব ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। ইয়াবা কারবারিদের নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক লেখালেখি করায় সংঘবদ্ধ পাচাকারী চক্র স্থানীয় সংবাদকর্মী রফিক আহম্মদকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। শনিবার রাত ১০টা দিকে পালংখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা গ্রামে এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে।
১৭ই জুলাই বুধবার উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের বদলী হয়ে রামু থানায় যোগদান করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসুর। তিনি যোগদান করার পর থেকে ইয়াবা কারবারিরা আতংকে রয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। থাইংখালী প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, উখিয়া থানার নতুন ওসি যোগদান করার পর থেকে ইয়াবা কারবারিরা সীমান্তের কাটাঁ তারের বেড়ার ওপারে রাত যাপন করে, সকালে বাড়ি ফিরলেও গ্রেফতার আতঙ্ক নিয়ে তাদের দিন যাপন করতে হচ্ছে। গ্রামবাসী আরও জানায় রাখাইন সীমান্তে কোন রোহিঙ্গা পরিবার না থাকায় মিয়ানমার সেনা ও বিজিবি সীমান্ত এলাকায় টহল দেন না বিধায় এখানকার ইয়াবা কারবারীদের নিরাপদ স্থানে পরিনত হয়েছে কাটাঁ তারের বেড়া সংলগ্ন উভয় দেশের জিরো পয়েন্ট।
এ ব্যাপারে পালংখালী ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বলে জানতে চাওয়া হলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, থাইংখালী এলাকার শতাধিক লোকজন ইয়াবা লেনদেনের সাথে জড়িত রয়েছে। তাদেরকে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা সর্বনাশা মাদক দ্রব্য লেনদেন পাচার ও সেবন অবহ্যত রেখেছে। পালংখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল আবছার অভিযোগ করে জানান, পালংখালী ইউনিয়নে রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ার পর থেকে ইয়াবার প্রচলন, ব্যবহার ও লেনদেন বেড়েছে আশংকাজনক। তিনি বলেন, সীমান্তের সন্নিকটে ক্যাম্প স্থাপনের সুযোগে রোহিঙ্গারা দিনরাত বিজিপির চোখ ফাকিঁ দিয়ে মিয়ানমারের যাচ্ছে। আসার সময় সাথে করে নিয়ে আসছে ইয়াবার চালান। তিনি বলেন, পুরো ক্যাম্পটাই এখন ইয়াবার বাজারের পরিনত হয়েছে। যা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ মাদকের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিচ্ছে তাদের ভয়াবহ পরিনতির আশংকা করা হচ্ছে। তবে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুর মনসুর জানালেন, তিনি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। তাই ইয়াবা ব্যবসার সাথে যারা জড়িত আছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনাই এখন তার মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলে দাবি করেন।
ইয়াবা কারবারি পালংখালী ডেইলপাড়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর পূত্র আতিকুর রহমানের ধারালো কিরিজের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত সাংবাদিক রফিক মাহমুদ জানান, প্রতিপক্ষরা পারিবারিভাবে ইয়াবা কারবারি তাদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করায় তাকে হত্যা উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। সংবাদকর্মীর উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দু®কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন, উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সরোয়ার আলম শাহীন, সাধারন সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিক উদ্দিন বাবুলসহ উখিয়ার সকল সংবাদকর্মী।

পাঠকের মতামত