প্রকাশিত: ১৪/০৩/২০১৯ ৭:৫৬ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশ থেকে যে টাকা আসে তার বেশির ভাগ খরচ হয় বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) কর্মীদের পেছনে। রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫ শতাংশ টাকাও খরচ হয় না। এনজিওগুলো গত ছয় মাসে হোটেল বিলই দিয়েছে দেড় শ কোটি টাকার বেশি। গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এসব বিষয় জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।

নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠক। নতুন করে গঠন করা এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হককে। বৈঠকে ছিলেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু এনজিও আছে, যারা ইল মোটিভ নিয়ে কাজ করছে। গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত এনজিওগুলো আবাসিক হোটেলগুলোর বিলই দিয়েছে দেড় শ কোটি টাকার ওপরে। ফ্ল্যাট ও বাসাবাড়ি ভাড়া দিয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা। বিদেশ থেকে টাকা এনে খরচ করার কথা রোহিঙ্গাদের জন্য, অথচ সেই টাকার ২৫ শতাংশও তাদের জন্য খরচ হয় না। ৭৫ শতাংশই খরচ হয় যারা দেখাশোনার জন্য আসে, তাদের জন্য। এটা খুবই দুঃখজনক।’ এই এনজিওগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। সেখানে কিছু প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে।’

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে বিদেশি কিছু সংস্থার মতামতের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কোথায় রাখবে, ভাসানচরে নেবে কি নেবে না, সেটা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব ব্যাপার। এনজিওগুলোর দেখার বিষয় রোহিঙ্গাদের মানবিক বিষয়গুলো সরকার দেখছে কি না। সে ব্যাপারে তাদের মতামত থাকলে সরকার বিবেচনা করবে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সুন্দরভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে এই কমিশনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে সহায়তা করেছে, সে জন্য এই সভায় তাদের আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’ মাদকদ্রব্য পাচারকারী এবং এটা বন্ধ করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সফলতার সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মিটিংয়ে ঢাকার দুই মেয়রকে মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা আহ্বান করব। কারণ উনাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া ঢাকা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।’

পাঠকের মতামত