প্রকাশিত: ২১/০৭/২০১৯ ৯:১৬ পিএম , আপডেট: ২১/০৭/২০১৯ ৯:১৭ পিএম

মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচূত্য রোহিঙ্গা ও রোহিঙ্গাদের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সেবার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এ প্রতিষ্ঠিত ৪৫ শয্যা বিশিষ্ট হোপ ফিল্ড ফর উইমেন নামের এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও মুলত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হলেও এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম স্থানীয়দের জন্য চলমান থাকবে। এ হাসপাতালটি দিন দিন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগনের আস্থা বাড়াচ্ছে।

শনিবার হোপ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ঘুরে জানতে চাওয়া হলে হাসপাতালের চীফ ম্যানেজার মো: শওকত আলী এসব কথা বলেন।

২০১৭ সালের ২৫শে ডিসেম্বর এ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা কাযক্রম শুরু হলেও বর্তমানে হাসপাতালের সার্বিকভাবেত দৃশ্যমান উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রকৃতির ছোঁয়ায় বেষ্টিত মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা এ হাসপাতালে ২৮দিন বয়সের নবজাতকের চিকিৎসা সেবায় অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে স্বীকার করে হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক ডা: মং ওয়াং মং বলেন, মুমুর্ষ রোগীদের উন্নত সেবার লক্ষ্যে প্রয়োজনের তাগিদে কক্সবাজার চট্টগ্রাম তথা ঢাকা বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের চীফ মেডিকেল অফিসার ডা: ইসমাইল জানান, এ হাসপাতালের বর্তমান ১০জন মেডিকেল অফিসার ২জন এনস্তোলোজিয়ার, ৩ জন শিশু বিষেশজ্ঞ ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। ১৫জন দক্ষ নার্স দ্বারা পরিচালিত প্রসূতি সেবার জন্য সার্বক্ষনিক হাসপাতালের দ্বার উন্মুক্ত থাকে।

তিনি বলেন, এখানে স্থাণীয় আর রোহিঙ্গাদের মধ্যে কোন প্রার্থক্য নাই। যেকোন রোগীদের তাৎক্ষনিক সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতাল সবসময় খোলা থাকে। ইমারজেন্সির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ঐ কর্মকর্তা জানান, ইমারজেন্সিতে ৩জন চিকিৎসক সবসময় নিয়োজিত থাকে, যাতে মুমুর্ষ কোন রোগীকে ফেরত যেতে না হয়। এসব রোগীদের জন্য রাখা হয়েছে ৩টি অত্যাধুনিক এ্যাম্বুলেন্স।

হোপ ফাউন্ডেশনের চিকিৎসার ব্যাপারে স্থাণীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সলামত উল্যাহ, নজির আহম্মদ ও আয়েশা বেগম নামের মহিলাসহ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, হোপ ফাউন্ডেশন যেরকম চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধপত্র দিয়ে আসছে তা অবহ্যত থাকলে এলাকার গরীব দুখী জনসাধারনকে চিকিৎসার জন্য আর কারও দারস্থ হতে হবে না। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে হাসপাতালে বিভিন্ন পদে কর্মরত ৮৫জন কর্মচারী স্থানীয় নাগরিক হওয়ার সুবাধে স্থানীয়রা অগ্রাধিকার ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...

লাইসেন্সের কোন কাজ নেই, টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না!- উখিয়ার ব্যবসায়ী সাদ্দাম

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী ...