প্রকাশিত: ১৪/০৬/২০১৯ ৪:৫২ পিএম

আবদুল্লাহ আল সিফাতঃ
মায়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদেরকে শেষ করা জন্য গ্রামগুলিতে একটি বড় ধরণের অভিযান শুরু করে। প্রাথমিক অপারেশনে, ডজন ডজন মানুষ নিহত হয়। নির্বিচারে গ্রেফতার,বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণধর্ষণ, বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা এবং লুটপাট চালানো হয়।
২০১৭ নভেম্বরের শেষের দিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মুক্তি পাওয়া
স্যাটেলাইট ইমেজগুলি দেখিয়েছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা প্রায় ১,২৫০টি রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মায়ানমারের সামরিক বাহিনী গ্রামবাসীদের গুলি করে হত্যা করার জন্য “অ্যাটাক হেলিকপ্টার” ব্যবহার করে।
যারা মায়ানমার থেকে পালিয়ে গেছে তাদের ভাষ্যমতে- নারীরা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, পুরুষদেরকে হত্যা করেছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে এবং শিশুদের জ্বলন্ত বাড়িঘরে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
মায়ানমারের সামরিক বাহিনী প্রায়ই নাফ নদীতে রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী নৌযানকে গুলি করে হত্যা করে।শরণার্থীদের সাক্ষাত্কারের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার মধ্যে উল্লেখ করা হয় যে গণধর্ষণ, গণহত্যা এবং শিশু-হত্যাসহ নৃশংসতা চালানো হয়েছে।সাক্ষাৎকারীদের প্রায় অর্ধেকেই বলেছে তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। নারীদের অর্ধেকই সাক্ষাত্কার দিয়েছে যে তারা ধর্ষিত হয়েছে বা তাদের যৌন হয়রানি করেছে।
রোহিঙ্গাদের অধিকারে থাকা বা তাদের দ্বারা ব্যবহৃত “আশ্রম, বিদ্যালয় , বাজার, দোকান এবং মসজিদ ” সেনাবাহিনী ও পুলিশের দ্বারা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
সরকার সাধারণ জনগণের উপর আক্রমণ করে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসেছে রোহিঙ্গারা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। কক্সবাজারের পাহাড়গুলোতে গাদাগাদি করে বাস করে রোহিঙ্গা। পাহাড়ি বনভূমি উন্মুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই আশ্রয় শিবির।
তাঁদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি নানান সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ। রোহিঙ্গারা সেই সব কথা ভুলে গিয়ে লিপ্ত হচ্ছে খুন, ধর্ষণ, ইয়াবা কারবার, মানব পাচার, অপহরণ- এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারা করছে না। কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১০ মাসে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী চক্রের হাতে ২৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ে ক্যাম্প থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৩টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদক।
রোহিঙ্গারা এখন দেশের জন্য বিষফোঁড়া। তাদের কারণে এখন চরম বিপদে রয়েছে প্রায় ২ লাখ স্থানীয় মানুষ। দিন দিন রোহিঙ্গারা সহিংস হয়ে উঠছে। কথায় কথায় তারা স্থানীয় লোকজনের ওপর চড়াও হচ্ছে।
আমরা কক্সবাজারবাসীর অন্যতম উদ্যোক্তা সাংবাদিক ইমাম খাইর বলেন, আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গাদের একটি সন্ত্রাসী চক্র অবৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। এই অস্ত্র স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
যতই দিন যাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের আচার-আচরণে ততই পরিবর্তন আসছে। তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। তারা ভুলে গেছে তাদের অতীতের ইতিহাস। ভুলে গেছে যে মানুষগুলো পাশে দাঁড়িয়েছিল তাদের কথা।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...