প্রকাশিত: ১৪/১১/২০১৭ ১২:০০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:০৯ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জাতিগত ভাবে নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে সেদেশের সেনাবাহিনি। সেনাদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী।

রোহিঙ্গা নির্যাতন ও সহিংসতার বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেখানে এই সহিংসতার কোনোরকম দায় নিজেদের ঘাড়ে নেয়নি সেনারা। প্রতিবেদনে কোনো রোহিঙ্গাকে হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, নারীদের ধর্ষণ বা লুটপাটের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মায়ানমারের সেনাবাহিনী তদন্ত প্রতিবেদনের খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। তবে বিবিসি বলছে, বিবিসির প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতনের কিছু চিত্র পেয়েছেন। এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রতিবেদনের কোনো মিল নেই।

মায়ানমার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা নিরীহ কোনো গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালায়নি, নারীদের প্রতি কোনো সহিংস আচরণ করেনি, তারা সাধারণ গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার, মারধর বা হত্যা করেনি। সাধারণ মানুষের বাড়ি থেকে মূল্যবান সামগ্রী বা গবাদিপশু লুটের বিষয়টিও অস্বীকার করে সেনাবাহিনী। মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়ার মতো অপরাধও করেনি বলেও দাবি করা হয়।

তারা দাবি করছে, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এসব ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী। এসব সন্ত্রাসীর ভয়েই লাখো মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক মুখপাত্র বলেন, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বোঝাই যায় যে মায়ানমার সেনাবাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিত করার কোনো ইচ্ছা নেই। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব সম্মিলিতভাবে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া।

চলতি বছরের আগস্ট থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত মায়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের সহায়তায় মায়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনি তাদের ওপর আক্রমণ করে এবং নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণ করতে শুরু করে।

মায়ানমার সীমান্তের কাছে বিস্ফোরণে ভারতের দুই সেনা নিহত

মায়ানমার সীমান্তের কাছে মনিপুরের চান্দেল জেলায় আইইডি বিস্বফোরণে আসাম রাইফেলসের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে বিস্ফোরণের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পিছনে নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী এনএসসিএন (খাপলাং) জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই এ খবর জানিয়েছে।

জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতোই এদিন মায়ানমার লাগোয়া মনিপুরের চান্দেল জেলায় টহল দিচ্ছিল আসাম রাইফেলস। সেই সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়।

ভারতীয় বাহিনীর দাবি, নাগা জঙ্গিরা প্রায়ই মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে চান্দেল জেলায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় চান্দেল ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি আছে। মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ রুখতে সক্রিয় থাকে আসাম রাইফেলস।

পাঠকের মতামত

ফেসবুকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোয় সেনাবাহিনীর হাত ছিল

২০১৭ সালে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার আগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোর জন্য যে কয়েক ...

আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ...

মিয়ানমারের পরবর্তী নির্বাচন দেশব্যাপী নাও হতে পারে: জান্তা প্রধান

মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরলে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের। তবে সে নির্বাচন ...

এমভি আবদুল্লাহতে বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র বসিয়েছে জলদস্যুরা

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিজস্ব ...