প্রকাশিত: ১৬/০৩/২০১৭ ১০:৫৮ পিএম

ঢাকা: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের অন্তবর্তী রিপোর্টে। রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন সুপারিশে বলেছে, নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি তাদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে মিয়ানমারকে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অন্তবর্তী রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, অবাধ চলাচল এবং মিয়ানমারের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব বিষয়েও সুপারিশ করেছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে গঠিত এ কমিশন। চলতি বছরের আগস্টে পূর্ণ রিপোর্ট দেবে তারা।

সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিশন গঠন করা উচিত। তাদের কাজ হবে সুষ্ঠু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে সহায়তা করা।

আনান কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গারা ফিরে যাওয়ার পর তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি তৈরি করে দিতে হবে মিয়ানমার সরকারকে। সেখানকার রাজনৈতিক পন্থায় মুসলিমদের প্রতিনিধিত্বেও চরম ঘাটতি আছে বলে মনে করে এই কমিশন। এ কারণে অনতিবিলম্বে মিয়ানমার সরকারের উচিত সবার সঙ্গে আলোচনা করে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যার মাধ্যমে দেশটির মুসলিমরা নিজেদের কথা বলতে পারে।

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে কফি আনান কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব না থাকার কারণে তারা বৈষম্য ও অবিচারের শিকার হচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে নাগরিকত্ব সত্যায়ন প্রক্রিয়ার একটি কৌশল এবং সময়সীমা বেঁধে দেওয়া।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ অক্টোবরের পর মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর হামলায় শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়। এছাড়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে এবং ৭০ হাজারেরও বেশি নির্যাতিত রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে বাংলাদেশে।

পাঠকের মতামত