প্রকাশিত: ১২/১০/২০১৭ ৯:৫০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২২ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কেবল নির্মূলই নয়, তাদের ফিরে যাওয়া ঠেকাতে সুপরিকল্পিতভাবে অভিযান ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল বুধবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) ‘র‌্যাপিড রেসপন্স মিশন’-এর প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মিশনটি গত ১৩ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ৬৫ ব্যক্তির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করে। গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার বাহিনী রাখাইন রাজ্যে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ গণহত্যা শুরুর পর বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হয়।

র‌্যাপিড রেসপন্স মিশন নেতা থমাস হুনেকে বলেন, ‘রাখাইনে গণহত্যা চলছে কি চলছে না তা আমরা যাচাই করিনি। তবে রোহিঙ্গারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে তা অগ্রাহ্য করা ঠিক হবে না। ’

আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে থমাস বলেন, যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে, তাদের আবার ফিরে যাওয়া ঠেকাতেই খুব সম্ভবত মিয়ানমার বাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সীমান্তে স্থলমাইন পেতেছে। এদিকে ইয়াঙ্গুনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের অনলাইনে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল শুরুর পর মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় দেড় কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওই পরিকল্পনা ঘোষণা করে।

অন্যদিকে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চল বিভাগের প্রধান জ্যোতি সংঘ্র গতকাল জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফিরে গেলে তাদের অন্তরীণ করে রাখা হতে পারে।

জ্যোতি বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গাদের সব বাড়িঘর ও জীবিকার সুযোগ পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের আশঙ্কা, তাদের কারাগারে বা শিবিরে বন্দি করে রাখা হতে পারে। ’ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জায়িদ রা’দ আল-হুসেইন গত মাসেই রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানকে ‘পাঠ্যপুস্তকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। আর গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মিয়ানমার বাহিনীর কর্মকাণ্ড দৃশ্যত ‘বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার ফিরে আসার পথ রুদ্ধ করতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ঘৃণ্য পরিকল্পনা’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থেকে ইঙ্গিত মেলে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পুরো গ্রাম ও বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে এবং সম্পদ ধ্বংস করছে। রোহিঙ্গাদের বিতাড়িতই শুধু নয়, বরং তাদের বাড়িতে ফিরে আসার পথ রুদ্ধ করাও তাদের উদ্দেশ্য। ’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র রাখাইন বৌদ্ধরা বাড়িঘর, শস্য, গবাদি পশু ও ফসলের জমি ধ্বংস করে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা ‘প্রায় অসম্ভব’ করে তুলেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার অভিযোগে সামরিক অভিযান শুরুর এক মাস আগে থেকেই ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী রোহিঙ্গা পুরুষদের গ্রেপ্তার শুরুর মধ্য দিয়ে ভয় ও দমনের আবহ সৃষ্টি করা হয়েছিল। অত্যন্ত পরিকল্পিত ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ধাপে ধাপে যে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি অনেক সময় সশস্ত্র বৌদ্ধরাও যোগ দিয়েছে। ২৫ আগস্ট অভিযান শুরুর আগেই রোহিঙ্গা নেতা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং জনমত সৃষ্টিকারীদের গ্রেপ্তার করেছে মিয়ানমার। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের খাবার সংকট সৃষ্টি, জীবন-জীবিকা ও দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্টের আগে ও পরে রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গলি’ (বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়া) ও ‘অবৈধ অভিবাসী’ আখ্যা দিয়ে ধারাবাহিকভাবে নিপীড়ন ও সহিংসতার মাধ্যমে বিতাড়নের চেষ্টা করা হয়েছে। হত্যা, গুম, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন নির্যাতনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রবল ভয়, শঙ্কা ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর, সম্পদ, এমনকি বাড়ির সীমানায় গাছের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাতমাদো এমন আক্রোশ চালিয়েছে যাতে উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা ও জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। তারা রোহিঙ্গাদের সব নিশানা মুছে ফেলার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জ্ঞানকে নিশ্চিহ্ন করতে ওই সম্প্রদায়ের শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ধর্মীয় নেতাদের লক্ষ্য করেও অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গা ঢল অব্যাহত থাকায় মিয়ানমারে এখনো অত্যন্ত অমানবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেই মনে করা হয়। রোহিঙ্গাদের অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, তারা ফিরে গেলে আবারও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের একটি অংশ বলেছে, সুনির্দিষ্ট কতগুলো বিষয় নিশ্চিত হলে তারা ফিরে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এগুলো হলো মিয়ানমারের নাগরিকত্ব; রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার প্রদান, জীবিকা বিনষ্টের ক্ষতিপূরণ প্রদান, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি ও বিচার নিশ্চিতকরণ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা। রোহিঙ্গাদের অনেকে এগুলোর পাশাপাশি আনান কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কথাও বলেছে।

প্রতিবেদনে রাখাইনের বুথিডং টাউনশিপ থেকে কক্সবাজারে আসা ৬০ বছর বয়সী এক নারীর বক্তব্য স্থান পেয়েছে। তিনি জানান, হামলার দিন মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাঁদের বাড়ি ঘিরে ফেলে। সেনা সদস্যরা বলতে শুরু করে তারা মিয়ানমারের কেউ নয়। মিয়ানমার তাদের দেশ না। এরপরই তারা গুলি শুরু করে। তিনি জানান, ঘরে লুকোনোর ব্যর্থ চেষ্টার পর তিনি পরিবার নিয়ে পাহাড়ের দিকে দৌড়াতে থাকেন। পথে তিনি অনেক মৃতদেহ দেখতে পান। ওই পরিস্থিতিকে ভয়ংকর হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।

৬০ বছর বয়সী ওই নারী আরো জানান, নারীদের তাঁদের চোখের সামনেই ধর্ষণ করা হয়েছে। অনেকেই ছিল কন্যাশিশু। সেনাবাহিনীর পোশাক পরা লোকেরা তাদের অনেককে মেরেছে। আর পুরুষদের রাইফেলের বাঁটের পাশাপাশি চাপাতি ও ছুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। রাতে পাহাড়ের ওপর থেকে তিনি নিজেদের গ্রামগুলো একের পর এক জ্বলতে দেখেছেন।

রোহিঙ্গাদের অনেকের বক্তব্য থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তারা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকেই তারা তাদের গ্রামগুলো একের পর এক পুড়ে নিশ্চিহ্ন হতে দেখেছে। অনেক ক্ষেত্রে, যেসব রোহিঙ্গা পাহাড় থেকে গ্রামে ফিরে গিয়েছিল সেনাবাহিনী তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছিল। সাক্ষাৎকার দেওয়া রোহিঙ্গারা বলেছে, বাড়ি ছেড়ে পালানোর সময় তাদের পরিবারের সদস্যরা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে চাইলে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমনকি অনেককে মেরে ফেলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাগুলোর আগে ও হামলার সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘তোমরা মিয়ানমারের কেউ নও। তোমরা বাংলাদেশে চলে যাও। যদি না যাও, তাহলে আমরা তোমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেব ও তোমাদের মেরে ফেলব। ’

বুথিডং টাউনশিপ থেকে আসা ১২ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কন্যাশিশু র‌্যাপিড রেসপন্স মিশনকে জানায়, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও রাখাইন বৌদ্ধরা তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে ও গুলি শুরু করে। অত্যন্ত ভীতিকর পরিস্থিতি ছিল সেটি। এরই মধ্যে তারা তার সাত বছর বয়সী একমাত্র বোনকে গুলি করে। ওই ছোট বোনই কাঁদতে কাঁদতে তাকে দৌড়ে পালাতে বলে।

১২ বছর বয়সী ওই রোহিঙ্গা কন্যাশিশু জানায়, ‘আমি আমার বোনকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পাহাড়ের ধারে কোনো চিকিৎসা সহকারী ছিল না। তার রক্ত ঝরছিল। এক দিন পর সে মারা যায়। আমি নিজে তাকে কবর দিয়েছি। ’

সে আরো জানায়, আকাশে হেলিকপ্টার ঘুরছিল। তারা পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়ার পর সেখানেও হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার চেষ্টা হয়। বাড়িতে হামলার সময় তার মা ও চার ভাই বাইরে ছিল। তারা এখন কোথায় কিভাবে আছে তা সে জানে না।

ওই ঘটনার মাসখানেক আগে তার বাবাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কেউই জানে না তাঁর কী অপরাধ। আর এখন তিনি জীবিত না মৃত সে তথ্যও জানা নেই তার।

সাক্ষাৎকার দেওয়া রোহিঙ্গাদের বড় অংশই নিশ্চিত করেছে, তারা তাদের বাড়িঘর আগুনে পুড়তে দেখেছে। অনেকে নিশ্চিত করেছে যে সেনাবাহিনীই তাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। আগুনের প্রতিটি ঘটনাতেই রোহিঙ্গারা সুনির্দিষ্ট একটি বক্তব্য শুনেছে। আর তা হলো ‘তোমরা বেঙ্গলি! এটি তোমাদের ঘর নয়। তোমরা মিয়ানমারের কেউ নও। ’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষও রোহিঙ্গাদের তাদের ওপর সম্ভাব্য হামলা ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিল। এ থেকেও ইঙ্গিত মেলে যে হামলাগুলো ছিল পরিকল্পিত। হামলার আগাম খবরে লোকজন প্রাণভয়ে পালায়। আর এভাবেই অনেক রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্য পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের কয়েকজন জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ২৫ আগস্টের আগেই কিছু রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে আসা যোদ্ধাদের বিষয়ে প্রশ্ন করে এবং তাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়েও জানতে চায়। সত্য না বললে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও তাদের হুমকি দেওয়া হয়।

বুথিডং টাউনশিপ থেকে আসা ৬০ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা জানান, ‘তারা আমার কাছে তথ্য চেয়েছিল। কিন্তু আমি তো কিছুই জানি না। আমি এ বিষয়টি তাদের যত বলি তারা ততই রেগে যায় এবং চারদিকে গুলি শুরু করে। ’

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আমি যা জানি না সে বিষয়ে তারা কেন আমার কাছে জানতে চায়? মিয়ানমার আমার জন্মভূমি। আমি কোনো ভুল করিনি। আমরা অপরাধী নই। ’

তিনি জানান, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের শান্তিতে বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা তাদের নিজ ভিটা ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়ংকর ও গা শিউরে ওঠার মতো নির্যাতনের আরো বিবরণ রয়েছে। অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে এক অন্তঃসত্ত্বা রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণ ও হত্যারও বিবরণ আছে। ধর্ষণের পর ওই নারীর পেটে ছুরি চালানো হয়, এমনকি তার স্তনও কেটে ফেলা হয়।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, খুব সামনে থেকে তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অনেককে পালানোর সময় পেছন থেকে গুলি করা হয়।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...