প্রকাশিত: ০৩/০৬/২০১৯ ১১:০৬ এএম

লন্ডন থেকে: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রোজা রেখে খেলেছিলেন বাংলাদেশ দলের তিন ক্রিকেটার। কাল ম্যাচ শেষে এই তথ্য জানালেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিক রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন।

রোজা রেখে ক্রিকেট খেলার নজির এটাই প্রথম নয়। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান হাশিম আমলাও জানিয়েছিলেন তিনি রোজা রেখেই ক্রিকেট খেলেন। এটা তার শারীরিক ফিটনেসের কোনো সমস্যা তৈরি করে না।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানে ম্যাচ জেতার আনন্দের খবর ভাগাভাগি করতে এসে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজও জানালেন-‘রোজা রেখে এই ম্যাচ খেলায় তার কোনো কষ্ট হয়নি। রিয়াদ ভাই, মুশফিক ভাইও রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন। আল্লাহ আমাদেরকে নিরাশ করেনি।’

ইংল্যান্ডে তো রোজার সময়টা অনেক লম্বা। কষ্ট হয়নি মাঠে?
মিরাজের উত্তর-‘মাঠের মধ্যে যখন প্রবেশ করি, তখন আর কোনো চিন্তা বা কষ্ট মনে থাকে না। সবসময় চিন্তা ছিলো ম্যাচ নিয়ে। কিভাবে ভালো করবো। কিভাবে রান আটকাবো। কিন্তু যখন খেলা শেষ হয়ে গেছে, তখনই মনে হলো রোজা রেখেছি। তখন থেকেই পানির পিপাসা একটু বেশি লাগছে! ড্রেসিংরুমে সবাই আমাদের সমর্থন দিয়েছে। প্রশংসা করেছে। সবাই বলেছে, খুব ভালো হয়েছে। আল্লাহর রহমত ছিলো।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ী ম্যাচে রোজা রেখে খেলা তিন ক্রিকেটারের মধ্যে মুশফিক রহিমকে সবচেয়ে লম্বা সময় উইকেটে থাকতে হয়েছিলো। ১৩১ মিনিট উইকেটে থেকে ৮০ বলে ৭৮ রান করেন মুশফিক। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের পুরো ৫০ ওভার পর্যন্ত উইকেটকিপিং করেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৪৮ মিনিট উইকেটে টিকে মাত্র ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৬ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। আর মেহেদি হাসান মিরাজ তিন বলে অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে। বল হাতে একপ্রান্ত থেকে আক্রমণের সূচনাও করেন মেহেদি মিরাজ। ১০ ওভারে ৪৪ রানে শিকার করেন ১ উইকেট।

সেই শিকারের নাম ফাফ ডু প্লেসি! দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬২ রান ছিলো যার।

পাঠকের মতামত