প্রকাশিত: ০৯/০৬/২০১৮ ৮:৪৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:০২ এএম

সোয়েব সাঈদ, রামু

কক্সবাজারের রামুতে ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলা করার পর থেকে অভিযুক্তরা উল্টো নিহত গৃহবধু রোজিনা আকতারের পরিবারের সদস্যদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকী দিচ্ছে। এ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিহত গৃহবধুর পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য রামু উপজেলার জোয়ারিয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রাবার বাগান নুরপাড়া এলাকায় গত ৪ জুন স্বামীসহ শ্বাশুড় বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে প্রাণ হারান ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধু রোজিনা আকতার (২৪)। হত্যার পর থেকে রোজিনা আকতারের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মিটু সহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।

ঘটনার পরদিন ৫ জুন রোজিনা আকতারের পিতা জাফর আলম বাদী হয়ে ৫জনকে অভিযুক্ত করে রামু থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, নিহত রোজিনা আকতারের স্বামী জাহাঙ্গী আলম মিটু (৩৮) ও তার ভাই শহিদুল আলম (৪৫), লোকমান হাকিম (৩০), মো. আয়াছ (৩৫) ও জানে আলম ভূট্টো (৪১)। অভিযুক্তরা সবাই মৃত আবদুল ওয়াহিদের ছেলে।

নিহত রোজিনার বড় ভাই মো. শাহজাহান জানান, হত্যার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে। এ ঘটনার ৫ দিন পার হলেও এখনো পুলিশ কোন আসামীকে আটক করেনি। তিনি আরো জানান, এখন অভিযুক্তরা মামলা দায়ের করায় তাদের বিভিন্নভাবে হুমকী-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকী দিচ্ছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে তাদের উল্টো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হবে। অব্যাহত হুমকীর কারনে মামলা দাবি রোজিনা আকতারের বাবা জাফর আলম সহ পরিবারের সদস্য বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এদিকে বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের পর থেকে এনিয়ে এলাকায় জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্দ এলাকাবাসী অবিলম্বে রোজিনা আকতার হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকল অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে। এলাকাবাসী আরো জানান, অবিলম্বে হত্যাকারিদের গ্রেফতার না করলে এলাকাবাসী প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষনা করবে।

মামলার বাদি জাফর আলম জানিয়েছেন, রোজিনা আকতারের হত্যার মুল নায়ক স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মিটু ও তার ভাইয়েরা সবাই মাদক ব্যবসায়ি ও নিয়মিত মাদক সেবনকারি ছিলো। মাদকসেবনের জন্য টাকা না পেয়ে তারা রোজিনা আকতারকে একযোগে নির্যাতন চালিয়েছে। এমন হত্যার পর রাবার বাগানে নির্জন এলাকায় ক্ষত বিক্ষত মরদেহ ফেলে সবাই সটকে পড়ে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা রামু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ ছানাউল্লাহ জানিয়েছেন, এ ঘটনা মামলা রুজু হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

রোজিনার ভাই মো. শাহজাহান আরো জানান, মৃত্যুর সময় রোজিনা আকতার ৮ মাসের বেশী অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। এক বছর পূর্বে একই এলাকার মৃত ওয়াহিদুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মিটুর সাথে রোজিনা বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করতো স্বামী জাহাঙ্গীর। জাহাঙ্গীর আলম মিটু ইয়াবা-মদ ব্যবসায় জড়িত। সে নিয়মিত ইয়াবা সেবনও করতো। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে।

পাঠকের মতামত

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...