প্রকাশিত: ০৪/০৬/২০১৮ ২:২৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:১১ এএম

পীর হাবিবুর রহমান::
সর্বগ্রাসী অস্থির, অশান্ত, ভয়ভীতি এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দেশ চলছে। বিশেষ করে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা এবং টেকনাফ যুবলীগের সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর একরাম হত্যার ঘটনা অডিও রেকর্ড শোনার পর মানুষ ব্যথিত, ক্ষুদ্ধ ও হতাশ হয়ে পড়েছে। নাগরিক সমাজের ১০জন ব্যক্তি মাদকবিরোধী অভিযানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এমন মৃত্যু গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিদাতা নাগরিক সমাজের এই ১০জনই আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এরা হলেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, হাসান আজিজুল হক, রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, নির্মলেন্দু গুণ, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, মফিদুল হক, গোলাম কুদ্দুছ ও হাসান আরিফ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের স্বাক্ষরে বিবৃতিটি পাঠানো হয়।

১৯ দিনের অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২৯জন নিহত ও অসংখ্য গ্রেফতার হয়েছেন। টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরাম হত্যাকাণ্ডের যে অডিও রেকর্ড প্রকাশ হয়েছে তা শুনে মানুষের হৃদয় কেঁদে উঠেছে। কলিজা কেঁপে উঠেছে। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে বলতে একরাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার স্ত্রী চিৎকার করে উঠেছেন। মেয়েরা আর্তনাদ আর্তনাদ করে উঠেছে। একরামের স্ত্রী দাবি করেছেন, তার স্বামী নির্দোষ। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। একরাম নিহত হবার পর খবর চাওর হয়েছে একরাম নাকি মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল। সব মিলিয়ে এই মৃত্যু প্রতিবাদের ঝড়ই তুলেনি, রহস্যময়তারও জন্ম দিয়েছে।

স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, একরামের নিহতের ঘটনার তদন্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর গুলি বর্ষণের ঘটনা যেভাবে তদন্ত হয়, এটিও সেভাবে তদন্ত হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, একরামের মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই দিনে টুঙ্গিপাড়ায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে পরিষ্কার বলেছেন, মাদক ও ভেজালবিরোধী অভিযানে কোন নির্দোষ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন। এ বিষয়ে তিনি কর্মকর্তাদের শতর্ক থাকতে বলেছেন।

গণমাধ্যমও একরাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে স্বোচ্চার হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তেমনি গণমাধ্যমও জবাবদিহিতার মুখোমুখি পড়েছে। কারণ, অনেক আগেই ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় একরামকে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। মাদকের মতো বিশেষ করে, ইয়াবার আগ্রাসন গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে বিষাক্ত করে তুলেছিল। ক্যান্সারের মত গোটা দেশে ছড়িয়েছে ইয়াবা ব্যবসার নেটওয়ার্ক। মাদকাসক্তের সংখ্যা পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে অভিশপ্ত করে তুলেছিল। গোটা তরুণ সমাজ ইয়াবার আগ্রাসনের শিকার হয়েছিল। রাষ্ট্র ও সামাজিক জীবনে এক এক সময় এক একটি চ্যালেঞ্জ অভিশাপ হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির জামানায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের রাজত্বের এতটাই উত্থান ঘটেছিল যে ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির নির্মম শিকার হয়েছিলেন। হত্যা, সন্ত্রাসের কবলে পতিত হয়েছিল দেশ। র‌্যাব গঠনের মধ্যদিয়ে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলার চ্যালেঞ্জ বিএনপি সরকারকে নিতে হয়েছিল। র‌্যাবের তথকথিত ক্রসফায়ারের মধ্যদিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের রাজত্বের এক একটি দুর্গের পতন ঘটেছিল। সেই সময় তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহল বিনাবিচারে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলেছে। কিন্তু র‌্যাবের ক্রসফায়ার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দেশ ছাড়াই করেনি, তাদের রাজত্বের পতনই ঘটায়নি। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির ভয়াবহ থাবা থেকে দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যকে রক্ষা করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেও র‌্যাবের কার্যকারিতা যেমন ফুরিয়ে যায়নি। তেমনি থামেনি ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধ। নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার র‌্যাবের ইমেজকে প্রবলভাবে ঝাকুনি দিয়েছিল। সেখানে র‌্যাব কর্মকর্তারা রেহাই পাননি। তদন্তের মধ্যদিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় তাদের দাঁড়াতে হয়েছে। বিচারের মধ্যদিয়ে শাস্তি পেতে হয়েছে। ইয়াবার বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযান জাতিসংঘ যতই পর্যবেক্ষণে রাখুক না কেন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন মিলেছে। ইয়াবার আগ্রাসন থেকে সমাজ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষার প্রয়োজনে মাদকবিরোধী যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু জবাবদিহিতার উর্দ্ধে, দায়িত্বশীলতার উর্দ্ধে কেউ নন। গোটা অভিযানকে একরাম হত্যাকাণ্ডের নির্মম অডিও রেকর্ড যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সেখানে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এখন সময়ের দাবি। কেউ অন্যায় করে থাকলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা জরুরি।

ইয়াবার বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে কোন নিরপরাধ বা নির্দোষ মানুষ যেন নির্মমতার শিকার না হয় সেই প্রত্যাশা এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এমনকি অপরাধীদের বন্দুকযুদ্ধে চিরাবিদায় করা হবে নাকি আটক করে বিশেষ আদালতে বিচারের মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করা হবে সেই বিতর্কও দেখা দিয়েছে। অতীতে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকেই গ্রেফতার হলেও সাক্ষী-সবুতের অভাবে নয়, আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে দাপটের সঙ্গে মাদক ব্যবসা চালিয়েছে। ইয়াবার আগ্রাসন থেকে নগর, বন্দর, শহর, গ্রাম কিছুই বাদ যায়নি। তারুণ্যের শিক্ষাজীবন থেকে জীবনী শক্তিও কেড়ে নিচ্ছে এই ইয়াবার মরণ নেশা। এর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের কার্যকর বিকল্প এখনো প্রতিবাদকারীরা উপস্থাপন করতে পারেনি। আমারা কেবল প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় এই নিশ্চয়তাই চাইতে পারি, নির্দোষ, নিরপরাধী যেন শিকার না হয়। অপারেশনে জড়িতরা যেন কারো দাবার ঘুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হয়। একরাম দোষী না নির্দোষ সেই প্রশ্ন পরে, কিন্তু তার আগেই তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নির্মতার যে চিত্রকল্প অডিও টেপের মধ্যদিয়ে মানুষের সামনে উঠে এসে কলিজা কাঁপিয়ে দিয়েছে মাদকবিরোধী অভিযানে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে সেটি বিবেচনায় নিতেই হবে। এই ধরনের হত্যাকাণ্ড সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক মানবিক সমাজ গ্রহণ করবে না। এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও তার রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

গোটা সমাজ ব্যবস্থা আজকে মূল্যবোধহীন অবক্ষয়ের শিকার। রাষ্ট্রীয় জীবন থেকে ব্যক্তি, সমাজ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অনৈতিক রুপ-লালসা বিষাক্তপনা তুলেছে। মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ে কথিত এই সমাজ এখন রাতারাতি বিত্ত বৈভবের রুপ মোহে আচ্ছন্ন। রাষ্ট্র নষ্ট সমাজের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু গেরান্টি কখনো সখনো দিতে পারছে না। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াইয়ে বিজয়ী হলেও মুনাফালোভী একদল ব্যবসায়ী খাদ্য দ্রব্যে যে ভেজাল মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পেলেছে তা প্রতিরোধ করতে পারছে না। খাদ্যের ভেজাল গ্রামীণ ফসলের মাঠ থেকে শুরু হচ্ছে। শহর নগরের বাজারে তা ছড়িয়ে পড়ছে। ভেজালের যে ভয়াবহতা সেই তুলনায় ভেজালবিরোধী অভিযান বড় বেশি দুর্বল ও সীমিত। ভেজালের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান সময়ের দাবি। যারা মানবাধিকারের কথা বলছেন, তাদের সামনেও মোটা দাগের প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভেজাল খাদ্যের করুণ পরিণতি বহন করবেন? অব্যাহত চালিয়ে যেতে দিবেন নাকি এর বিরুদ্ধেও অনিবার্য যুদ্ধকে আহ্বান জানাবেন? দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সরকার সীমিত সম্পদ ও লোকবল নিয়ে লড়াই করছে। সেখানে অনিয়ম দুর্নীতি নির্বাসিত করা যাচ্ছে না। এমনকি মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের জন্য যেসব আধুনিক বেসরকারি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে সেখানেও দেখা যাচ্ছে রোগীরা চড়া মূল্যের বিল পরিশোধের পর কপালে জুটছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ।

আইন বিচার সকল নাগরিকের জন্য। ন্যায্য পাওনা থাকলেও কার্যত ক্ষমতাবান ও বিত্তবানদের জন্য যতটা নাগালে ঠিক ততটাই নক্ষত্রের মত দূরে গরীব, সাধারণ মানুষের জন্য। রাজনৈতিক বাণিজ্যিকীকরণ ও রাজনৈতিক আদর্শহীনতা কিংবা ক্ষমতার মোহ ভোগবিলাসের রাজনীতি গোটা সামাজ ব্যবস্থা থেকে মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। জবাবদিহিমূলক আদর্শীক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধহীন রাজনৈতিক ব্যবস্থা গোটা সমাজ জীবনে নষ্টদের দাপট বাড়িয়েছে। প্রশাসন থেকে সর্বক্ষেত্রে দলবাজি বা দলীয় করণের কুফল ভোগ করেেছ সমাজ। সংবিধান আইন ও বিধিবিধানের কার্যকারিতা সকল নাগরিকের জন্য সমান। এটি ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। মূল্যবোধহীন অবক্ষয়ের এই যুগে মানুষ বিবেকের দায়বদ্ধতা ভুলে যাচ্ছে। ক্ষমতাবান বৃত্তবান ও সমাজপতিদের মধ্যে বিবেকের দায়বদ্ধতা জাগ্রত না হলে তার ইতিবাচক প্রভাব সমাজেও পড়বে না। রাজনৈতিক প্রশাসনিক ও সামাজিক কর্তৃত্বপরায়ণ গোষ্ঠির হাত ধরে মূল্যবোধহীন ভঙ্গুর আদর্শহীন সমাজ ছুটছে। তার নেতিবাচক ঢেউ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। ঘুষ দুর্নীতি ব্যাংক লুট শেয়ার কেলেঙ্কারিই নয় নীতিহীন পথে যেনতেন উপায়ে মুনাফা লাভের লোভে ছুটছে মানুষ অস্তির অশান্ত সমাজে।

কেউ রাজনৈতিক ক্ষমতার ছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার কেউবা ক্ষমতার আনুকুল্য নিয়ে রাতারাতি বিত্ত বৈভবের কাঙ্গালপনা থেকে অগাধ অর্থ সম্পদ বানাতে ব্যস্ত। কেউবা সকল নীতি আদর্শ বিবেকবোধকে হত্যা করে যেনতেন উপায়ে অঢেল অর্থবিত্ত ও ভোগ বিলাসের পথে আইন বিধিবিধানকে তোয়াক্কা করছেন না। ঘুষ দুর্নীতি ব্যাংকের টাকা লুটের নেশায় বুদ হয়ে আছেন। চিকিৎসা সেবার নামে চড়া মূল্যের বিলই চাপিয়ে দিচ্ছেন না, বিনা কারণে গাদা গাদা টেস্ট মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধরিয়ে দিচ্ছেন। খাদ্যে ভেজালের নামে বিষ প্রয়োগ করে দুহাতে মুনাফা লুটছেন আর চারদিকে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি দেশদ্রোহী লুটেরা একটি চক্র দেশের অর্থ প্রতিনিয়ত বিদেশে পাচার করছে। মাদকের মত সর্বনাশা ব্যবসা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে। সমাজ বিরোধীরা সামাজিক রাজনৈতিক কর্তৃত্বের আসনে বসে সংবিধান ও আইনের উর্দ্ধে কেউ উঠতে পারেন না। রাষ্ট্র এখানে বোবা হয়ে বসে থাকতেও পারে না। সকল অসৎ অসাধু দুর্নীতিবাজ শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের নিরাপদ জীবনযাপনের স্বার্থে রাষ্ট্রকে জঙ্গিবাদের মত সকল অপশক্তিকে রুখতেই হবে। জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রকে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। যুগে যুগে দেশে দেশে রাষ্ট্র এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছে।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...