প্রকাশিত: ১১/১০/২০১৬ ৭:২৭ এএম

160448_160নিউজ ডেস্ক::

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পুলিশ ছাউনিতে হামলার পর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সৈন্য পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সাথে রোববারের ওই হামলায় জড়িতদের সন্ধান করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এতে নিরীহ রোহিঙ্গারা হয়রানির শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

ওই হামলায় ৯ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন নিহত হন। মিয়ানমার মনে করছে, সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকেরা এই হামলার সাথে জড়িত। রোববার সীমান্ত পুলিশের তিনটি ছাউনিত পৃথক হামলায় পুলিশ সদস্য ছাড়াও আট হামলাকারী নিহত হয়েছে এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। হামলাকারীরা কয়েক ডজন অস্ত্র ও ১০ হাজার রাউন্ডের বেশি গুলি লুট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, অন্তত ৯০ জন হামলাকারী হামলা চালানোর পর পাহাড়ি এলাকার দিকে পালিয়ে গেছে।

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা রোহিঙ্গা মুসলমানরা বেশির ভাগই নাগরিকত্বহীন, তাদের চলাচলের ওপরও রয়েছে মিয়ানমার সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ। রোববার কর্তৃপক্ষ মংডু এলাকায় সব প্রকাশ্য সভা-সমাবেশের (৫ জনের বেশি একত্র হওয়া) ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করে এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, তাতমাডো নামে পরিচিত দেশটির সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে সৈন্য পাঠিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এলাকায় মোতায়েনকৃত পতাদিক বাহিনীর ছবি ছড়িয়ে পড়ছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে জোর তল্লাশি অভিযানের খবর পাওয়া গেলেও সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

রাখাইন রাজ্য সরকারের একজন মন্ত্রী জানান, ‘তাতমাডো, পুলিশবাহিনী ও সীমান্ত সুরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি মোকাবেলায় একযোগে কাজ করছে। তবে সেখানে কী পরিমাণ সৈন্য পাঠানো হয়েছে তা জানাতে রাজি হননি তিনি।
অভিযানে নিরীহ বেসামরিক লোকদের হয়রানির আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। অনলাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন অসমর্থিত রিপোর্টে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মংডু এলাকার প্রশাসক ই তাত জানান, কেউগাংবিইন গ্রামটি ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানেন না। তবে মংডু শহরের মুসলিম বাসিন্দারা কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে গতকালই তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে।

এ দিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্তি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলটি বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়া এই বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে বিজিবি কর্তৃপক্ষ। চ্যানেল নিউজ এশিয়া

 

পাঠকের মতামত