প্রকাশিত: ১০/১১/২০১৭ ৮:১২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:২২ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ায় পড়ছেন মুনতাহা তাবাসসুম। একই ক্লাসে পড়তেন বাংলাদেশের অনীক রায়হান নামে এক যুবক। পড়ার সময় উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের মাধ্যমে ৩ এপ্রিল থেকে সংসার শুরু করেন।

স্বামী হিসেবে মালয়েশিয়ান যুবতীদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশি যুবকরা। পরের অবস্থানে রয়েছেন ইরানি। তিন বছরে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি যুবকদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন প্রায় আট শতাধিক নারী।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…

কেন বাংলাদেশিদের বেশি পছন্দ- এমন তথ্য খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে নানা মজাদার তথ্য। কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশিরা স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করে না, ভালোবাসে সবকিছু উজাড় করে। মালয়েশিয়ার কয়েকটি অভিজাত এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্যের সত্যতা।

মুনতাহা জানান, তার বড় খালারও বিয়ে হয়েছে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে। খালার কাছে জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশের ছেলেরা স্ত্রীকে খুব ভালোবাসেন। প্রয়োজনে জীবন বিসর্জন দিতে দ্বিধা করেন না বাংলাদেশি যুবকরা।

তখন থেকে তার স্বপ্ন বাংলাদেশের যুবককে বিয়ে করবেন। আমরিন ইবনে ফরহাদ নামে এক যুবতী মালয়েশিয়ার টেলিকমে চাকরি করেন। একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন সাঈদ আহমেদ নামে বাংলাদেশের এক প্রকৌশলী। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা হতো। এভাবে তিন বছর পেরিয়ে গেলে আমরিন সরাসরি সাঈদকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

সাঈদ প্রস্তাবে রাজি হলে তাদের বিয়ে হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশিরা কেন মালয়েশিয়ানদের বিয়ে করেন- এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, মালয়েশিয়ান মেয়েরা স্বামীর আয় নিজের জন্য ব্যয় করেন না। তারা সব সময় নিজের আয় থেকে চলতে ভালোবাসেন।

অনেক সময় স্বামীর প্রয়োজনে পিতার কাছ থেকে সহযোগিতা নেন। মালয়েশিয়ান বিমান সংস্থা মালিন্ডো এয়ারলাইনসে কাজ করেন তাসফিয়া নাজরিন। তিনিও বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের যুবক হেমায়েত হোসেনকে। তাসফিয়া জানান, ‘ছয় মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। দুজন খুব ভালো আছি। আমরা আরও দুই বছর পর সন্তান নেব। এরপর চাকরি ছেড়ে দেব।’

পাঠকের মতামত

একটি পেঁয়াজের ওজন ৯ কেজি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ব্রিটিশ এক কৃষক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ...