প্রকাশিত: ১৭/০১/২০২০ ৩:৩৫ পিএম

কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত কঙ্গোর কয়েক হাজার তরুণ-তরুণীর আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা।

তারা জানিয়েছেন, তথ্য-প্রযুক্তি ও ইলেকট্রিক বিদ্যার হাতে কলমে শিক্ষা সে দেশের তরুণদের বিপথে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করছে।

আয়তনে বাংলাদেশের ১৬ গুণ বড়, খনিজ সম্পদে দুনিয়ার সব চেয়ে ধনী কিন্তু অর্থনীতিতে ঠিক তার উল্টো ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো। দুই দশক ধরে দেড় শতাধিক মিলিশিয়া বাহিনীর হানাহানিতে বিধ্বস্ত এ দেশের যত্রতত্র প্রকট চরম দীনতার ছাপ।

এ বাস্তবতায় মিলিশিয়াদের সঙ্গে লড়াই চালানোর পাশাপাশি কঙ্গোলিজদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে প্রত্যন্ত কয়েকটি এলাকায় কারিগরী শিক্ষা দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা।

বুনিয়া প্রদেশের এ কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রিক সামগ্রীর নানা প্রক্ষিণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার কথা জানালেন উপকারভোগীরা। তারা বলেন, আমাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ।

এদিকে মেজর ইকরাম বলেন, আমাদের এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা বাইরে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি পেয়েছেন।

ইতুরি প্রদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশকে। কাকোরাকি বাতুমা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে। এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলো এই অঞ্চলে বেকারত্ব দূর করতে সহায়তা করছে।

আরেকটি কেন্দ্র থেকে তথ্য-প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন কেউ কেউ। তারা বলেন, এখানে ট্রেনিং মাসে ৩শ’ ডলার পর্যন্ত তারা ইনকাম করছে। মেজর হাবিব বলেন, এ ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রায় ১ হাজার জন উপকৃত হয়েছেন।

সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগের কারণে পুরো কঙ্গোতেই প্রশংসিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...