প্রকাশিত: ০৫/০৩/২০১৮ ৯:০৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:৪৮ এএম

উখিয়া নিউজ  ডেস্ক::
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মূল বাধা বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কৌশলগতভাবে কিছুটা সামরিক চাপ সৃষ্টি করা দরকার বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টা বাংলাদেশ মিয়ানমার মীমান্তের তমব্রু পয়েন্টে কৌশলগতভাবে ভালো অবস্থানে ছিলো মিয়ানমার সেনাবাহিনী। পুরো সীমান্ত পয়েন্টজুড়ে পাঁচশ’র বেশি সেনাসদস্যের বিপরীতে বাংলাদেশের ছিলো হাতেগোনা বিজিবি সদস্য।

কিন্তু হঠাৎ করে শনিবার সকালে বিজিবি সদস্য সংখ্যা বাড়ালে সীমান্ত ছেঢ়ে চলে যায় মিয়ানমার সেনারা। ফলে মুহূর্তেই কমে আসে তিনদিনের সীমান্ত উত্তেজনা।

বিজিবি ৩৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য কোনো কিছু ঘটেনি, আমরা দুইদিন আগে যে সামান্য অস্থিরতা দেখেছি, সেই তুলনায় সীমান্তের অবস্থা এখন অনেক ভালো, সাধারণ এবং শান্ত। আমাদের সতর্ক থাকা উচিৎ, ইটস আওয়ার জব।’

স্থানীয়দের মতে, মিয়ানমার সেনারা কিছুটা দুর্বল। শুধু শনিবারের তমব্রু সীমান্ত নয়, এর আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে সংঘাতে তারা পিছু হটেছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আদিল চৌধুরী বলেন, ‘এরা অন্যায় করেছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে, এরা দুর্বল। এরা যেকোনো সময়ে, যেকোনো পরিস্থিতিতে এরা পিছু হটবে- এটাই স্বাভাবিক।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত ছয়মাসের বেশি সময়ের ভেতরে মিয়ানমার সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে দেশটির সামরিক সরকারের উপরেও চাপ সৃষ্টি করা দরকার বলে মনে করছেন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তাদের মতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মূল বাধা দেশটির সেনাবাহিনী।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের উপরে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো তো মিয়ানমার সেনাবাহিনীই করেছে। তাদের কাছেও যদি একটা কড়া বার্তা পৌঁছানো যায়, কূটনীতির পাশাপাশি, তাহলে আমার মনে হয়, এই সমস্যাটার আশু সমাধান হবে।’

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ বলেন, ‘যেসমস্ত রোহিঙ্গারা এসেছে, যাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, সুতরাং এটা আন্তর্জাতিক প্রেশারে এখন মিয়ানমার সেনাবাহিনী অবশ্যই দুর্বল।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের টেকনাফ ও উখিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের সৈন্যরা যতোই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করুক না কেন, মানসিকভাবে তারা খুবই দুর্বল। যে কারণে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ সত্ত্বেও বিজিবির টহল ব্যবস্থা দেখে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। আর এভাবে যদি বাংলাদেশ ক্রমাগত তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে কৌশলগতভাবে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবে। সুত্র:- সময় টিভি অনলাইন।

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...