প্রকাশিত: ২৭/১০/২০২০ ২:০৮ পিএম

মাহাবুবুর রহমান::
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের পাশে শতাধিক দোকানের মালিক রোহিঙ্গারা। একই সাথে মেরিন ড্রাইভের পাশে অন্তত তিন শতাধিক বাড়ি তৈরি করে থাকছে রোহিঙ্গারা। যেখানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে। সচেতন মহলের দাবী মেরিন ড্রাইভ রোড অনেকটা রোহিঙ্গাদের দখলে। সেখানে মাছ ধরার কথা বলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় অবাধে ইয়াবা পাচার করছে রোহিঙ্গারা একই সাথে মেরিন ড্রাইভের পাশে আধুনিক দোকান পাট নির্মাণ করে ব্যবসা করে বিপুল টাকা আয় করছে তারা। তবে সেখানে স্থানীয় কেউ দোকান করলে সাথে সাথে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে দেয় বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।

টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালী পাড়া এলাকায় কয়েকটি দোকানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সব দোকানের মালিক রোহিঙ্গা। এ সময় আলাপকালে রোহিঙ্গা আবদুস সবুর বলেন, আমাদের আসল বাড়ি বর্মা তবে এখানে এসেছি ৭/৮ বছর। আমার পরিবারে মোট ১২ জন সদস্য আমরা রাস্তার পাশে বাসা নিয়ে থাকি এই দোকান করি।
ছেলেরা সাগর থেকে মাছ ধরে মেয়েরা মাছ শুকায় ঘরের কাজ করে। তিনি দাবী করেন মেরিন ড্রাইভে রোহিঙ্গাদের অন্তত ১০০ দোকান আছে। শাপলাপুর এলাকার পুলিশ চেক পোস্টের পাশে একটি চায়ের দোকানে গিয়ে মালিকের পরিচয় জানতে চাইলে শুক্কুর নামের সেই মালিক অনায়াসে স্বীকার করে সে রোহিঙ্গা, তবে এক দিনের জন্যও ক্যাম্পে থাকেনি। বরং নতুন আসা অনেক রোহিঙ্গা আত্বীয় স্বজন তাদের সাথে থাকে ব্যবসা বাণিজ্য করে। তিনি বলেন, আমার মাছের বোট আছে, দোকান করি। আমার আওতায় আরো ১৫ জন শ্রমিক কাজ করে। তার মধ্যে অনেক বাংলাদেশীও আছে। এছাড়া তার মত বেশিরভাগ রোহিঙ্গারাই এখানে ব্যবসা বাণিজ্য করছে বলে জানান তিনি।
এ সময় শাপলাপুর এলাকার সাবেক জনপ্রতিনিধি শফিউল আলম বলেন, মেরিভ ড্রাইভ রোড় পুরুপুরি রোহিঙ্গাদের দখলে এখানে বেশির ভাগ বোট দৈনিক সাগর থেকে মাছ ধরে আনে প্রত্যেক মাঝিমাল্লা রোহিঙ্গা। আবার অনেক রোহিঙ্গা বোটের মালিক আছে। এছাড়া যারা মাছ শুকানোর কাজ করে, মাছ বিক্রি করে সবাই রোহিঙ্গা। এছাড়া মেরিন ড্রাইভের পাশে যতসব আধুনিক দোকান দেখবেন প্রায় সবগুলোর মালিক রোহিঙ্গা। পরিস্থিতি এতই খারাপ যে রোহিঙ্গাদের কাছে এখন আমরাই অসহায় হয়ে পড়েছি। আবার কোন স্থানীয় রাস্তার পাশে কোন দোকান করলে সে গুলো প্রশাসন এসে ভেঙ্গে দিয়ে যায়। তিনি দাবী করেন মেরিন ড্রাইভ সড়কে যত সব ডাব বিক্রেতা দেখা যাবে বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। এখানে ডাব বিক্রির পজিসন বা স্থান বিক্রি হয় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে। এরকম বহু বিচার আমরা করে দিয়েছি।

মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া এলাকার রোহিঙ্গা আবদুল জলিল বলেন, এখানে আমি এসেছি বহু বছর আগে। প্রথমে ঢাকার এক অফিসারের জমির পাহারাদার ছিলাম, এখন আরো অনেকে জমির পাহারাদার হিসাবে আছি মাসে তারা আমাদের বেতন দেয়। ৩ স্ত্রী সহ বর্তমানে তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৩ জন বলে জানান তিনি। একই সাথে তারা সবাই বিভিন্ন কাজে আছে। ছেলেরাও এখন ভাল ব্যবসা বাণিজ্য করছে বলে জানান তিনি।
ইয়াবার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা করিনা তবে অনেকে ইয়াবা ব্যবসা করে। রাস্তার পাশে হওয়াতে ইয়াবা জমা রাখা, হাত বদল করা খুব সহজ তাই টাকা কামানো সহজ বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে টেকনাফ বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মৌলবী আবদুল আজিজ বলেন, এটা সত্য মেরিন ড্রাইভে রোহিঙ্গা বেশ তৎপরতা আছে, মুলত স্থানীয়রা আগে তাদের সুবিধার জন্য রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করেছে এখন তারা শেকড় লম্বা হয়ে গেছে ফলে এখন আর কিছু করা সম্ভব না। বরং আমরা এখন নিজেদের সম্মান রক্ষা করে চলি। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...