প্রকাশিত: ২২/০৩/২০২০ ৮:৩৩ পিএম

যশোরের মণিরামপুরে কোয়ারেন্টাইন ভেঙে বিয়েতে ৫শ’ লোক সমাগমের অভিযোগ উঠেছে কনে পক্ষের বিরুদ্ধে।রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে কনের বাড়িতে চলছিল খাওয়ার আয়োজন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দেখে পালিয়ে গেছেন বর-কনে। প্লেটের খাবার রেখে পালিয়েছেন অতিথিরাও।ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেঞ্জ সহকারী সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, চন্ডিপুর গ্রামের মোশারেফ হোসেনের মেয়ে বেলির বিয়েতে এই আয়োজন করেন। তাতে মদদ দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুর রহমান। মাহাবুর সম্পর্কে কনের আপন চাচা।

ঝাঁপা গ্রামের বেসরকারি চাকরিজীবী জনৈক আশিকুর রহমানের সাথে কয়েকদিন আগে বিয়ে হয় বেলির। রোববার ছিল কনে বিদায় দেওয়ার আয়োজন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিয়ের আয়োজন করা নিষেধ। যদিও করতে হয় তাহলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি লাগে। কিন্তু কোনও প্রকার অনুমতি ছাড়াই দাওয়াত দিয়ে ৫০০ লোক সমাগম করেন কনের পিতা। বরপক্ষ ৮-১০টি মাইক্রোবাস নিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হন।

খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান পুলিশ নিয়ে বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হন। আদালত দেখে বর-কনে, অতিথি এবং কনের স্বজনরা পালিয়ে যান।

বর পক্ষের অতিথি সাহাবুর রহমান বলেন, আমরা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওয়ানা হই। পথিমধ্যে খবর পাই অনুষ্ঠানে পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। তখন বাড়ি ফিরে যাই।

তবে নিজে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেম্বর মাহাবুর রহমান। তিনি বলেন, আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। মেয়ে তুলে দেওয়ার জন্য ছোট করে আয়োজন চলছিল। এলাকার কেউ শত্রুতা করে ম্যাজিস্ট্রেট খবর দিয়েছে। আমার সাথে ভাইয়ের রাগারাগি। আমি অনুষ্ঠানে যাইনি।

এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান বলেন, কোয়ারেন্টাইন ভেঙে চন্ডিপুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে ৫০০ লোক সমাগমের খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। আমাদের দেখে বর-কনেসহ সবাই পালিয়ে যায়। কাউকে পাওয়া যায়নি।

মেম্বর মাহাবুরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...