প্রকাশিত: ২০/১১/২০১৭ ৯:২১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:৫০ এএম

দিল্লি: প্রথমবারের মতো ভারত ও মায়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে।

সোমবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মেঘালয় রাজ্যের উমরেইতে ‘ইন্ডিয়া-মায়ানমার বাইল্যাটারাল মিলিটারি এক্সারসাইজ ২০১৭’ (আইএমবিএএক্স) শীর্ষক এই মহড়া শুরু হয়েছে।

আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই মহড়া চলবে। মহড়ায় মায়ানমারের ১৫ এবং ভারতের ১৬ জন সেনা কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। মায়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা ১৯ নভেম্বর মেঘালয় পৌঁছান।

ভারতীয় সেনা মুখপাত্র লে. কর্নেল সুমিত নিউটন সাংবাদিকদের বলেন, দক্ষতা ও কৌশল বিনিময়ই এই যৌথ মহড়ার মূল উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে উভয় বাহিনী নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বকে আরো সুদৃঢ় করতে চায়।

তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রথম ভারতের মাটিতে দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে শান্তিরক্ষা অভিযানে পরিসেবা দিতে প্রয়োজনীয় কৌশল, পদ্ধতি, দক্ষতা সম্পর্কে মায়ানমার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’

প্রযুক্তির পাশাপাশি কৌশলও থাকছে সেনা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের তালিকায়। উভয় দেশের সেনা কর্মকর্তারাই পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে উপকৃত হবেন বলেও দাবি করেন মুখপাত্র।

জাতিসংঘ মিশনে ভারতের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে কর্নেল সুনীত জানান। মায়ানমার সেনা কর্মকর্তাদের ইউএনপিকেও’র বিভিন্ন বিষয়ে অবগত করা এই মহড়ার উদ্দেশ্য।

চলতি মাসের প্রথম দিকে একই স্থানে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এর লক্ষ্য ছিল দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করা।

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে চীনের তিন দফা প্রস্তাব
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে তিন দফা (থ্রি-ফেজ) পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে চীন। এর প্রথমেই রয়েছে অস্ত্রবিরতি। এতে সমর্থন রয়েছে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের। এ কথা বলেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মায়ানমারের রাজধানী ন্যাপিড সফরে রয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেছেন, চীন বিশ্বাস করে বাংলাদেশে ও প্রতিবেশী মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে।

আর তৃতীয় ও শেষ দফা পরিকল্পনায় থাক উচিত দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের জন্য কাজ করা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রোববার দিনের শেষের দিকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে এই তিন দফার কথা তুলে ধরা হয়।

তার প্রথমেই রয়েছে অস্ত্রবিরতির কথ। এরপরে জোর দেয়া হয়েছে দ্বিপক্ষীয় সংলাপে। তৃতীয় ও সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য কাজ করা। চীনা পররাষ্ট্রমনত্রী ওয়াং ই বলেছেন, এরই মধ্যে অস্ত্রবিরতি শুরু হয়েছে। তবে আবার যেন তা নতুন করে শুরু না হয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করা বা এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তিনি আশা করেন, এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত আনার বিষয়ে একধরণের ঐক্যমতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। তাই তারা শিগগিরই এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে এবং তা বাস্তবায়ন করবে বলেও আশা করেন ওয়াং ই। তিনি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ওয়াং ই বলেন, এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সমর্থন ও উৎসাহ দিতে হবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে, যাতে তারা প্রয়োজনীয় পরিবেশ ও সুষ্ঠু আবহ সৃষ্টি করতে পারে। এর আগে বাংলাদেশ সফর করেছেন ওয়াং ই। রয়টার্স লিখেছে, চীনের প্রস্তাবে বাংলাদেশের যেমন সমর্থন আছে, মিয়ানমারেরও একই অবস্থা। বাংলাদেশ সফরকালে ঢাকায় চীনা দূতাবাসে ওয়াং ই বলেছেন, পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলা উচিত হবে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।

পাঠকের মতামত