প্রকাশিত: ১৭/০১/২০১৭ ১০:১৯ এএম

নিউজ ডেস্ক::

শীঘ্রই শুরু হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাচাই কার্যক্রম। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম নেই এমন অনেকেই অর্ন্তভুক্ত হতে পারেন তালিকায়। যুদ্ধ না করেও রাজনৈতিক কারণে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এমন অনেকেই বাদ পড়তে পারেন তালিকা থেকে। ২০০৫ সালে প্রকাশিত তালিকায় অনেক স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
মুক্তিবার্তা (লাল বই) অর্ন্তভুক্তরা ছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত গেজেটে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং যাদের তালিকাভুক্ত করা হয়নি তাদের অর্ন্তভুক্ত করতে যাচাই-বাচাই কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। সঠিকভাবে যাচাই-বাচাই করতে কক্সবাজার জেলায় গঠিত হয়েছে ৮টি পৃথক কমিটি। ২১ জানুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরুর নির্ধারিত তারিখ থাকলেও তা আরো পিছিয়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রিয় কমান্ড কাউন্সিল সুত্রে।
কক্সবাজার জেলার ৮টি কমিটির মধ্যে চকরিয়া উপজেলায় সভাপতি মনোনীত হয়েছেন খন্দাকর আবদুর রহিম। সদস্য জয়নাল আবেদীন, সাদাত হোসেন, হাবিলদার মোহাম্মদ উল্লাহ, মাহবুবুর রহমান ও মোহাম্মদ ইউচুপ। কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মহেশখালী উপজেলায় সভাপতি মনোনীত হয়েছেন সাবেক সাংসদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সদস্য আলতাফ হোসেন, কালমিয়া, পুলিন বিহারী শর্মা, সৈয়দ লকিয়ত উল্লাহ ও ছালেহ আহমদ। কক্সবাজার সদর উপজেলার সভাপতি মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। সদস্য কামাল হোসেন চৌধুরী, মনিরুল আলম চৌধুরী, আবু তালেব, ডাঃ শামসুল হুদা ও শ্রী ধর্মদর্শী বড়–য়া। পেকুয়া উপজেলায় সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান। সদস্য আকতার আহমদ, মোঃ ইউচুপ, ছিদ্দিক আহমদ, এস.এম কামাল উদ্দিন ও অর্জিত কুমার নাথ। রামু উপজেলায় সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান। সদস্য গোলাম কাদের, রণবীর বড়–য়া, নুরুল হক, আবদু সালাম ও গোলাম কাদের(২)। কুতুবদিয়া উপজেলায় সভাপতি নুরুল আবচার। সদস্য নুরুচ্ছফা, ভোলানাথ দাশ, মোজাফ্ফর আহমদ, আবুল খায়ের ও মোঃ হোসেন চৌধুরী। টেকনাফ উপজেলায় সভাপতি নুরুল আবচার। সদস্য আয়ুব বাঙ্গালী, সিরাজুল কবির, জহির আহমদ, সোলতান আহমদ ও অধ্যক্ষ মোঃ ইউচুপ। উখিয়া উপজেলায় সভাপতি এম এ রাজ্জাক। সদস্য জয়সেন বড়–য়া, সুনিল বড়–য়া, পরিমল বড়–য়া, আবদুস সোবহান ক্যাপ্টেন ও আলী আকবর বাঙ্গালী।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় যারা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধ করেছেন বা কোন বাহিনীতে চাকুরীরত অবস্থায় যুদ্ধ করেছেন তারাই মুক্তিবার্তা (লাল বই) প্রাপ্ত। এটি স্বাধীনতা পরবর্তিতে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তিতে কয়েকদফায় স্থানীয়ভাবে যুদ্ধ করেছেন এমন দাবীদারদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সর্বশেষ ২০০৫ সালে প্রকাশিত তালিকায় অনেক অমুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্ত করা হয়। তালিকায় ৩৪০ জনের নাম রয়েছে। তখন অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আবেদন করলেও তাদের রাজনৈতিক কারণে তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে দাবী করে আবেদনকারীদের কয়েকজন জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য তদবির করেনি। অবহেলার কারণে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়নি। কিন্তু ২০০৫ সালে যাদের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই স্বাধীনতার পক্ষের লোক নন। আমরা সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে আবেদন করেছি।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ শাহজান জানান, যারা এখন তালিকাভুক্ত আছেন(বিশেষ গেজেট মুক্তিবার্তার বাইরে) তাদের প্রায় সবাই আবেদন করেছেন। একই সাথে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেও আবেদন করেছেন যাদের আবেদন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (কমিটির সচিব) এর কাছে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমিটির কার্যক্রম শুরু হলে আবেদনকারীদের উপস্থিত রাখতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।

 

সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...