প্রকাশিত: ১৭/০৮/২০১৮ ৬:৪১ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতন শুরু হওয়ার পর ২৫ হাজার রোহিঙ্গা মারা গেছে বলে দাবি করেছে একটি গবেষণা প্রতিবেদন। এছাড়াও প্রায় ৩৬ হাজার রোহিঙ্গাকে আগুনে ছুড়ে মারা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেদনটি।

যুক্তরাজ্যের মর্যাদাসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডের কুইন্স কলেজে এই গবেষণা প্রবন্ধটি বুধবার (১৫ আগস্ট) প্রকাশ করা হয়।

রোহিঙ্গা সংকট

অষ্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, ফিলিপাইন ও নরওয়ের শিক্ষক, পেশাজীবীরা এই গবেষণাটি করেছেন। জানুয়ারি মাসে কক্সবাজারে অবস্থানরত ৩ হাজার ৩০০ রোহিঙ্গার ইন্টারভিউ নেওয়া হয় এবং এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই প্রবন্ধটি প্রকাশ করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে। যেমন হত্যা, ধর্ষণ, গৃহে অগ্নিসংযোগ, ফসলের ক্ষতিসাধন, ডাকাতি, ব্যবসায়ে ক্ষতিসাধন ইত্যাদি।

রোহিঙ্গারা বিবিধ ধরনের যেমন রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক বৈষম্যেরও শিকার। প্রায় ৮০ শতাংশ রোহিঙ্গা বলেছে, তারা চিকিৎসা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। আবার ৭৬ শতাংশ বলেছে, পড়াশোনার ক্ষেত্রে তারা সমান সুযোগ পায়নি।

রোহিঙ্গা সংকট

অনুষ্ঠানে কফি আনান কমিশনের সদস্য লেইতিশিয়া ভ্যান ডেন আসুম বলেন, ‘এই ধরনের রিপোর্টের মাধ্যমে সবাই অনুধাবন করে যে রোহিঙ্গা সমস্যা কোনও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বা আঞ্চলিক সমস্যা নয় বরং জাতীয়তাবোধ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা।’

অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ সুফিয়ুর রহমান সেই দেশে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন।

পাঠকের মতামত