প্রকাশিত: ০৭/১০/২০১৭ ২:১০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৩৫ পিএম
সৌদি প্রবাসী রোহিঙ্গাদের উদ্যোগেই গঠিত হয় রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি

ডেস্ক রিপোর্ট ::
বিতর্কিত বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি- আরসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মিয়ানমার সরকারের যে কোনও শান্তির প্রস্তাবে সাড়া দিতে রাজি আছে। শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পক্ষ থেকে আরসার এক বিবৃতির সূত্রে এ কথা জানানো হয়।

২৫ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে আরসা’র দাবিকৃত হামলার পর ক্লিয়ারেন্স অপারেশন জোরদার করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তখন থেকেই মিলতে থাকে বেসামরিক নিধনযজ্ঞের আলামত। পাহাড় বেয়ে ভেসে আসতে শুরু করে বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দ। পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো থেকে আগুনের ধোঁয়া এসে মিশতে শুরু করে মৌসুমী বাতাসে। মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে শূন্যে ছুড়ে দেয় সেনারা। কখনও কখনও কেটে ফেলা হয় তাদের গলা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় মানুষকে।

এই বাস্তবতায় মিয়ানমারের প্রতি শান্তির আহ্বান জানিয়েছে বিদ্রোহী সংগঠন আরসা। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘যদি বার্মিজ সরকারের পক্ষ থেকে শান্তির জন্য কোনও আগ্রহ প্রকাশ করা হয় তবে ‘এআরএসএ’ তাকে স্বাগত জানাবে এবং সে অনুযায়ী উদ্যোগও গ্রহণ করবে’।

মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে আরসা’র প্রস্তাবের বিষয়ে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ‘আরসা’ যখন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলো তখন সরকারের এক মুখপাত্র বলেছিলো, ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য আমাদের কোনও নীতি নেই।’

রাখাইন সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৫ লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখনও রাখাইন থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে নতুন করে দ্বিগুণ শক্তিতে অভিযান শুরু করেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এতে আরও ৩ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই বাস্তবতায় রাখাইন প্রদেশে অবাধ প্রবেশাধিকার চাইছে জাতিসংঘ।

পাঠকের মতামত