প্রকাশিত: ১৩/০৯/২০১৭ ৯:৪২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৩৬ পিএম
তমব্রু সীমান্তে ৪০ দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন বিজিবির একজন কর্মকর্তা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম। (ছবি-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ অনুবিভাগের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)

উখিয়া নিউজ ডটকম::
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ৪৩টি দেশের কূটনীতিক প্রতিনিধিদল। তারা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম ও তুমব্রুর নো-ম্যানস ল্যান্ডে গিয়েও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরজমিনে পরিদর্শন করেন। কূটনীতিকদের সীমান্ত পরিদর্শরের সময়ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বসতবাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এসময় বিশাল কুণ্ডুলি পাকিয়ে ধোঁয়া উঠতে দেখে বিস্মিত হন তারা।

ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমন চৌধুরী জানান, বিদেশি কূটনীতিকরা যখন দুপুরে তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন, তখন তুমব্রু বাজারের পাশে মিয়ানমারের ভেতরে দুটি বাড়িতে আগুন জ্বলছিল। কূটনীতিকরা মিয়ানমারের ওই পারে কয়েকটি স্থানে কুণ্ডুলি পাকিয়ে ধোঁয়া উঠতে দেখতে পান।

এর আগে কূটনীতিকরা কুতুপালংয়ের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। তারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

কূটনীতিকরা জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তরিকভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরে সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন তারা।

তমব্রু সীমান্তে ৪০ দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন বিজিবির একজন কর্মকর্তা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম। (ছবি-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ অনুবিভাগের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীরের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)

মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও হামলা বন্ধ করতে আহ্বান জানান কূটনীতিকরা। রোহিঙ্গাদের এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটেন, চীন ও ভারতের রাষ্ট্রদূত।

এর আগে বুধবার দুপুরে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছান বিদেশি কূটনীতিকরা। এসময় তারা নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মুখে নির্মমতার বর্ণনা শোনেন।

সকাল ১১টার দিকে ৪৩টি দেশের হাইকমিশনার, রাষ্ট্রদূত, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

পাঠকের মতামত