প্রকাশিত: ২৩/১০/২০২০ ৮:৪৩ এএম

পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘ যখন রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহ করছিল ঠিক তখনই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্যস্ত ছিলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ওয়াং ই এর সঙ্গে ফোনালাপে। টেলিফোন আলোচনা হচ্ছিল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাতে মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহের ওই অনুষ্ঠানে চীনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অংশগ্রহণের কথা থাকলেও পরে তার পরিবর্তে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন।

এক ঘণ্টার ওই ফোনালাপে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য চীনকে অনুরোধ করে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, ’দুই মন্ত্রীর মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুটি বড় আকারে আলোচিত হয়।’

বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ’ওই বৈঠক মিয়ানমারের ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের পরে হবে বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদেরকে জানিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, এর আগে চীনের উদ্যোগে বেইজিং ও নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে ত্রিপক্ষীয় মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশে চীন ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি হিসাবে ওয়ার্কিং লেভেল বৈঠক নির্বাচনের আগে হওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’

বর্তমানে চীন এ বিষয়ে কী করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চীনের মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছে সম্প্রতি তারা বিভিন্নভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নতি হলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার উদ্যোগ নিবে বলে তারা চীনকে জানিয়েছে।’
দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদির মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, করোনা ভ্যাকসিন, চীনা সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়নসহ অন্যান্য বিষয়। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদেরকে জানিয়েছেন করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার পরে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবে।’

কোভিডের কারণে বিভিন্ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের গতি মন্থর হয়ে গেছে এবং পরিস্থিতি উন্নতি হলে এই বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে চীন কাজ শুরু করবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

পাঠকের মতামত