প্রকাশিত: ২১/০৫/২০১৮ ১:০৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:৪১ এএম

ডেস্ক নিউজ : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবস্থানরত এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের ব্যাপারে দেশটিকে বাস্তব তথা ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার এক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এ কথা বলেন। ইউএসএইডের (ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট) প্রধান মার্ক গ্রিন বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকার নিশ্চিতে ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নিতে হবে এবং যারা সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে গেছে তারা যাতে ফিরে আসতে আগ্রহী হয় সেই রকম আন্তরিকতা দেখাতে হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এর আগে তিন দিনের সফরে মিয়ানমার যান গ্রিন। সফরে তিনি রোহিঙ্গাদের একটি শরণার্থী শিবিরসহ রাখাইন রাজ্য ঘুরে দেখেন।

এর আগে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন গ্রিন। সেই সফরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা দেশে ফিরতে চায়, কিন্তু তারা আতঙ্কিত। ফিরে আসার আগে তারা তাদের অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায়।

সাংবাদিকদের গ্রিন বলেন, আমরা খুব দৃঢ়ভাবে সরকারকে (মিয়ানমার) উৎসাহিত করব যাতে রোহিঙ্গাদের শর্ত পূরণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দুর্দশাগ্রস্ত জীবনযাপন নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন মার্কিন এ কর্মকর্তা।

গ্রিন বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আরো ৪৪ মিলিয়ন (চার কোটি চার লাখ) ডলার সাহায্য দেবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি চেকপোস্টে হামলাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। বর্বর ওই অভিযান থেকে জীবন বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র ওই অভিযানকে জাতিগোষ্ঠী নিধনের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে অভিহিত করে। যদিও মিয়ানমার সে অভিযোগ অস্বীকার করছে।

সফরে শুক্র ও শনিবার গ্রিন মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে দেশটির কার্যত সরকার প্রধান অং সান সুচি এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে বেসামরিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া রাখাইন রাজ্যের স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

আর রোববার রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা কবলিত এলাকায় মুসলিম ও বৌদ্ধদের গ্রাম পরিদর্শন করেন তিনি। এ ছাড়া রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে থেকে অল্প দূরে থেত কায়ে পাইন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।

গ্রিন বলেন, আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় নেই। আমাদের সকলকে সত্যি সত্যিই প্রয়োজনীয় সব ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে এগুতে হবে এবং সবাইকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

পাঠকের মতামত