প্রকাশিত: ১২/০১/২০১৯ ৭:৪৪ এএম

এম আমান উল্লাহ আমান::
বছরের ৪ মে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়। এই অভিযান চলাকালে এখন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় ৩৫ জন নিহত হন। এর মধ্যে টেকনাফে নিহত হয়েছেন ৩২ জন।

টেকনাফে পুলিশ সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের ভাষ্য, নিহত দুই ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালীর খুরেরমুখ এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়।

নিহত দুই ব্যক্তি হলেন আব্দুর রশিদ ওরফে ডাইল্যা (৪৭) ও আবুল কালাম (৩৩)। রশিদের বাড়ি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কচুবনিয়া গ্রামে। বাবার নাম ইমাম শরীফ। কালাম একই ইউনিয়নের কাটাবনিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধে উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফরহাদ ও কনস্টেবল হৃদয় আহত হয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি দেশীয় বন্দুক (এলজি), ২২টি গুলি ও ২২ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

টেকনাফ মডেল থানা-পুলিশ বলছে, নিহত দুজন মাদক ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন মামলার আসামি ছিলেন। রশিদের বিরুদ্ধে ছয়টি ও কালামের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গতকাল বুধবার বিকেলে তাদের একটি দল অভিযান চালিয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী রশিদ ও কালামকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করা দুজনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোররাতে সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সহযোগীরা তাঁদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। রশিদ ও কালাম পালানোর চেষ্টা করলে দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের মাঝে পড়ে যান। একপর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রশিদ ও কালামকে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।

টেকনাফ মডেল থানা-পুলিশ বলছে, গুলিবিদ্ধ রশিদ ও কালাম এবং পুলিশের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে রশিদ ও কালাম মারা যান।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, রশিদ ও কালামের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁদের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

গত বছরের ৪ মে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়। এই অভিযান চলাকালে এখন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় ৩৫ জন নিহত হন। এর মধ্যে টেকনাফে নিহত হয়েছেন ৩২ জন।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...