প্রকাশিত: ২১/০৭/২০১৮ ৩:০৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২৭ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
মাদকের গডফাদারদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে করা আইনের খসড়া আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ফরিদউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী। এছাড়া মাদক নির্মূলে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় সচিব এসব কথা জানান। এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সচিব।

সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সচিব। তিনি বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে ১৯৯০ সালের যে আইনটা এখন বলবৎ আছে সেটার মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে যে মাদকের গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। গডফাদার বলতে যারা মাদকের ব্যবসায় অর্থলগ্নি করছেন, তারা হয়ত দেশেও থাকেন না, দেশের বাইরে থেকেই করছেন। নতুন আইন আমরা করছি। সেখানে গডফাদারের বিষয়টাও থাকবে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হবে।’

নতুন আইনের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের সোমবার মন্ত্রিসভার যে বৈঠক হবে সেখানে আমরা নতুন এই আইনটা পাঠাতে পারব বলে আশা করছি।’

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের নির্দেশনা আছে। মাদকবিরোধী যে অভিযান সেটা চলবে। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হবে ততদিন পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান চলবে। আরও একটা বিষয় হচ্ছে যৌথবাহিনীর অভিযান চালানো হবে। এটা খুব শিগগিরই শুরু হবে।’

‘মাদক নির্মূলের জন্য কক্সবাজারকে আমরা আলাদা জেলা হিসেবে নয়, একটি পৃথক জোন হিসেবে নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেখানে নজরদারি বাড়িয়ে যাতে যৌথভাবে অভিযান করা যায়।’, যোগ করেন সচিব।

মাদকবিরোধী অভিযানের সময় ‘বিচার বর্হিভূত’ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিদেশি চাপের মধ্যে থাকার কথাও জানিয়েছেন সচিব।

তিনি বলেন, ‘এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং নিয়ে আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি। বিশেষ করে ফরেন মিনিস্ট্রি আমাদের সবসময় এটা বলে। বিদেশ থেকেও চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং বলতে যেটা বলা হচ্ছে সেটা তো হচ্ছে না।’

মাদক নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলায় মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্তপথে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে একটি বিকলাঙ্গ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে যাতে কার্যকর করা যায়। ৫০টি গাড়ি এবং চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। দুজন ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকায় অলরেডি কাজ শুরু করছেন। চট্টগ্রামেও দুজন ম্যাজিস্ট্রেট আসবেন।’

দেশের সকল বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যার মাদক নিরাময় কেন্দ্র করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব।

সভায় সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন ও পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...