প্রকাশিত: ৩১/০১/২০২০ ৪:১৯ পিএম

করোনাভাইরাস (২০১৯-nCoV) কে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।যদিও ভাইরাসটি চীনের উহান প্রদেশের সামুদ্রিক মৎস্য বাজার ও জীবন্ত পক্ষি বাজার থেকে প্রথম ছড়িয়েছে কিন্তু বর্তমানে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে।৩০ জানুয়ারি -২০২০ পর্যন্ত এটি বিশ্বের ১৮টি দেশে ছড়িয়েছে।বাংলাদেশ ও এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে।বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার চীনা নাগরিক কর্মরত আছেন যাদের অনেকে চৈনিক নববর্ষের ছুটিতে বর্তমানে তাদের দেশে রয়েছে।অন্যদিকে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী প্রতিবছর চীনে পড়ালেখা করতে যায়।বাংলাদেশে বাজারে চীনা পন্যের সয়লাব অর্থাৎ ব্যবসার কাজে অনেক বাংলাদেশী নিয়মিত চীন যাতায়াত করেন।গার্মেন্টস কারখানা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এই জায়গাগুলোতে বিদেশিদের আনাগোনা চোখে পড়ার মত।যেহেতু WHO এটিকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে গত ৩০ জানুয়ারি -২০২০ ঘোষণা করছে;সর্বোচ্চ সর্তকতা আমাদের এখনই নিতে হবে।প্রতিটি উপজেলা-জেলা হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল ও চিকিৎসা সামগ্রি মজুদ রাখতে হবে।আক্রান্তদের আলাদা কক্ষে রেখে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য পৃথক কক্ষ প্রস্তুত রাখতে হবে। সাধারণ জনগনের আতংক দূর করার জন্য টেলিমেডিসিন সার্ভিসে আওতা বাড়ানো যেতে পারে।যাতে কেউ ফোন করে তার করণীয় নির্ধারণ করতে পারে।সরকারের পাশাপাশি অসরকারি সংস্থা ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে মানব কল্যাণে এগিয়ে আসতে পারে।দাতা সংস্থাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী,ঔষধ ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদান করে বাংলাদেশের পাশে থাকতে পারে।আবারো বলছি যেকোন আপদে আতংকিত না হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হয়।যদিও বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ;এদেশে অনেক শিক্ষিত জনবলও কিন্তু রয়েছে।এখন প্রয়োজন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন জনবলকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে কাজ করা।যেহেতু করোনাভাইরাস সবার জন্য ভয়ংকর সেহেতু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের অধিকতর সর্তকতার সহিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।এই জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজন বিশেষ প্রশিক্ষণের।সম্প্রতি বিদেশ ফেরতদের এয়ারপোর্টেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। প্রয়োজনে বেশি আক্রান্ত দেশের সাথে বিমান যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রাখা যেতে পারে।সরকারের প্রচারিত প্রতিটি স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং পরিবার পরিজনকে তা মানাতে হবে। এই রোগের লক্ষণ দেখামাত্র নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্রুত নিয়ে যেতে হবে।চিকিৎসাকের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণমেয়াদে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। সর্বোচ্চ সর্তকতা এবং সচেতনা আমাদের এহেন বৈশ্বিক আপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।সকলের স্বাস্থ্য কামনা করছি।

লেখকঃ
জিয়াউর রহমান মুকুল,
মানবিক ও উন্নয়ন কর্মী,
শেড,কক্সবাজার।

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...