প্রকাশিত: ০২/১২/২০১৯ ৯:১৮ পিএম

ভাসানচর রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য কতটা উপযোগী তা দেখতে চলতি মাসেই সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দলের। প্রতিনিধিদলটি সেখানে কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে চায়। ওই বিষয়গুলোর সুরাহার পর রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বললেন পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক।

আজ সোমবার সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, সরকার কক্সবাজারের শিবিরে চাপ কমিয়ে আনতে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই মধ্যে সরকার প্রায় ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা খরচ করে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরকে প্রস্তুত করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই দ্বীপটিতে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

শহীদুল হক বলেন, জাতিসংঘ বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পুর্নবাসনের বিষয়ে কাজ করছে। চলতি মাসের মধ্যে প্রতিনিধি দলটি চরটি পরিদর্শনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মামলার ক্ষেত্রে আইনি পরামর্শক সংস্থার মতামত নেওয়া হয়েছে কি না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রোহিঙ্গারা যে চলে এসে কেন যাচ্ছে না, সেটা দেখতে হবে। পাশাপাশি তাদের ওপর নৃশংসতার জবাবদিহি ও বিচারের বিষয়গুলোও দেখতে হবে।

গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জবাবদিহি ও বিচার নিশ্চিত হলে এরা নিজের দেশে ফিরে যাবে। না হলে বারবারই বাংলাদেশে আসবে। এর সম্ভাব্য মূল কারণ হতে পারে মিয়ানমারের জবাবদিহি আর বিচারের বিষয়টির সুরাহা হয়নি। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টির সুরাহা হয়নি।

 

পাঠকের মতামত

মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, ঈদের আগেই দেশে ফিরতে পারেন নাবিকরা

অপহরণের প্রায় মাসখানেকের মাথায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ’র ২৩ বাংলাদেশি ...

আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ...