প্রকাশিত: ১৪/০৭/২০১৮ ৮:২৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৪৫ এএম

ডেস্ক নিউজ- গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোন্নগরে শুভলগ্না চক্রবর্তীর বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করেন প্রেমিক সুলতান আলি। প্রথমে বলা হয়, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করেন সুলতান। তবে শেষ পর্যন্ত কেঁচো খুড়তে যেন অজগর বেরিয়ে আসার জোগাড়!

এই হতাকাণ্ডের জন্য শুভলগ্নার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অভিযুক্ত সুলতানের বাবা শেখ ইসলাম। তার সাফ দাবি, এই পরিণতির জন্য দায়ী শুভলগ্না নিজেই।

সুলতানের বাবা জানান, তার ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল শুভলগ্নার। সম্পর্কের এক পর্যায়ে গোপনে বিয়েও করে তারা। স্ত্রীর পেছনে অনেক টাকা খরচ করেছিল সুলতান। শুভলগ্নার ভাই শুভায়ু কুয়েতে চাকরি করে। তাকে খুব ভালোবাসত সুলতান। তাকে কুয়েতে পাঠাতে ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা ঋণও নিয়েছিল সে।

তিনি বলেন, এমনকি নিজের ব্যবসা থেকেও টাকা দিয়েছিল সে। এসবের ফলে সুলতানের নিজের ব্যবসাতেই মন্দা দেখা দেয়। তারপরেও শুভলগ্না তার ছেলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। উপরন্তু, সুলতানের নামে ৩-৪টা ফৌজদারি মামলা দায়ের করে শুভলগ্নার পরিবার।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে সুলতানের সঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছিলেন শুভলগ্না। কিন্তু সেকথা বাড়িতে গোপন রেখেছিলেন। এরপর সুলতানের সঙ্গে মতবিরোধ হতেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন শুভলগ্না।

অন্যদিকে, দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য শুভলগ্নার সম্বন্ধ পাকা হয়ে যায়। নভেম্বরেই ছিল বিয়ে। সেজন্য কেনাকাটাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। একথা জানতে পারেন সুলতান। আর তারপরই আক্রোশ থেকে শুভলগ্নাকে খুন করেন তিন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে শুভলগ্নাকে খুন করেন সুলতান। তাকে বাঁচাতে এসে সুলতানের হাতে আক্রান্ত হন শুভলগ্নার বাবা-মা।

সুলতানের বাবা বলেন, যখন থেকে শুভলগ্না বিচ্ছেদের মামলা করেন সেই সময় থেকে তার ছেলে প্রায় পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল। সুলতান জানতে পেরেছিল- শুভলগ্নার পরিবার এক ব্যাংক কর্মচারীর সঙ্গে তার বিয়ে পাকা করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, নিজের স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হবে এটা মানতে পারেনি আমার ছেলে। তাই যার সঙ্গে শুভলগ্নার বিয়ে ঠিক হচ্ছিল, সেই ছেলের বাড়িতে গিয়েও সব নথিপত্র দেখিয়ে বিয়ে ভাঙতে অনুরোধ করেছিল সুলতান।

পাঠকের মতামত