প্রকাশিত: ১৭/০৯/২০১৯ ২:৩৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৯/২০১৯ ৩:০১ পিএম

আলমগীর মাহমুদ ::
১৯৮৩ সালে কক্সবাজার কলেজের আঙ্গিনায় পা রাখি।আই, এ প্রথম বর্ষে। ফাষ্টইয়ার ডেমকেয়ার ভাব না আসতেই পড়ি মহাবিপদে। নিস্তারে ছিলাম ভাবনায়।

উপায় খোঁজেও বুদ্ধির কৌশলে মার খাচ্ছি। না করতে চাওয়া কাজই করতে হচ্ছে। বাধ্য হচ্ছি। হুমকি, প্রেসার ভয়ভীতিতেও নয়।

” অচিন মানুষের ভালবাসার হাসির নিবেদনে,কথার উপস্থাপনায়।

বড় দেহওয়ালা,মাথায় চুলের পরিমান কম, মুখে একগাল হাসি,সম্মোহনী শক্তি সম্পন্ন। ছাত্রলীগের এক ছাত্রনেতা যার সামনে পড়লে ওর হয়েই কৌশলী কায়দায় কখন যে না যাইতে চাওয়া মিছিলে গর গর হেঁটে চলতাম নিজেই বুঝতাম না।

কলেজে উনার নজরে পড়াই ছিল আমার মহাবিপদ। প্রথম মিছিলেই পরিচয় জেনে নি।নাম ফরিদ।কলেজ ছাত্রলীগ নেতা।ভাবলাম আজ থেকে প্রথম এবং প্রধান কাজ এই লোকের আড়ালে থাকা।নইলে পড়ালেখা শেষ।এইবার শেষবার।

দ্বিতীয়বার তৃতীয়বার যতবারই উনারে ফাঁকি দেয়া সম্ভব হয়নি বলে মিছিলে গেছি, প্রত্যেকবারই নিজেরে বলেছি এইবারই শেষবার।উনার সামনে শেষবারই প্রথমবার হয়ে রইতো।

উনার মিছিলে নেয়ার কৌশল আর উপস্থাপনা ছিল দরদের আঁটায় আইকাগামের মতো।

”জড়িয়ে ধরে চাটগাঁইয়া দরদে কইত”তোঁয়ারা আঁর ভাইদেই আঁই এরশাদর মার্শাল..ল এর ভেতর জীবন রিস্ক লইয়িদে,। আঁরে তোরা দৌলইত্যার মত গুলির আগাত ন লই যাইসছেনা।অ..ভাই।’১

আয় মিছিলে যাই বলে সবাইরে দুইহাতের বেড়ির রশির মতো আটকিয়ে মিছিলে নিয়ে চলতো ।তখন মিছিল মিটিং ছিল নিষিদ্ধ।

আমরা মিছিলে যেতাম কোনদিকে ছুঁটতে না পেরে।ভয় হত।কখন আবার বন্দী হয়ে যাই।যারা মিছিলে যেত তাদেরও যে গোপন লিষ্ট হতো তখন।

আমার মহাবিপদ। সেদিনের সে ছাত্রনেতা ফরিদই আজকের এডভোকেট ফরিদ।আমাদের “লীডার” ডাকটা ছাড়া। পার্টি করে সভা সেমিনারে বিরানীর প্যাকেট,কোক,আর পানির বোতল, বিনে কোন অর্জনই পেতে দেখিনি যাকে। তিনিই আমাদের মজলুম জননেতা এডভোকেট ফরিদ।

উনাকে পি,পি,করা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত শ্রদ্ধার।এই সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞার।এই সিদ্ধান্ত “এই প্রজন্মের কাছে আমাদের লীডার ডাকটির এক্সটেনশন।নইলে প্রজন্মরে জানানো সম্ভবই হতো না, ফরিদ ভাই ক্ষমতাসীন দলের আত্নীয় ছিল।
এই সিদ্ধান্ত ত্যাগী নেতাদের স্বপ্নের ঘরে আলো।

” আবারও আপনার (ফরিদ ভাই) নুতন কিছু প্রপ্তিতে কেউ আবেগী হয়ে কলম চালনার গর্বের স্থানটা যেন কলংকিত না হয়”…সে প্রত্যাশাই রইল মোর।

অভিনন্দন…. অভিনন্দন… অভিনন্দন।

পাদটীকা ঃ-
১/তোমরা আমার ভাই তাই আমি এরশাদের মার্শাল ল এর ভেতর জীবন রিক্স নিয়েছি। তোরা আমারে শহীদ দৌলতের মত গুলিতে মুখে নিতে দিস না।
২/
চকরিয়া এরশাদ হটাও আন্দোলনে শহীদ দৌলত।

লেখকঃ–
বিভাগীয় প্রধান।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ।
উখিয়া কলেজ কক্সবাজার।
[email protected]

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...