প্রকাশিত: ৩১/০৩/২০১৭ ৯:২১ এএম

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে দু’টি সাবমেরিন সংযুক্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই সাবমেরিন বিধ্বংসী টর্পেডো ক্রয়ের অর্ডার দিয়েছে মিয়ানমার। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই গত সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত থেকে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ডলার দিয়ে তারা শাইনা টর্পেডো সংগ্রহ করছে। টর্পেডোটি ডিজাইন করেছে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড নামের একটি ডিফেন্স ম্যানুফাকচারিং প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করছে। এ টর্পেডো শক্তিশালী বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে সাবমেরিন খুঁজে বের করার জন্য মিয়ানমারের কাছে ভারত সোনার এবং রাডার বিক্রি করেছে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে একজন বিশেষজ্ঞ প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি সাবমেরিন ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করা হয়।’ তবে তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার যে প্রযুক্তির টর্পেডো সংগ্রহ করছে বাংলাদেশের তার থেকে উন্নত প্রযুক্তির টর্পেডো আছে।’ শাইনা টর্পেডো সাধারণত সাত কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে সাবমেরিন সংযুক্তির ফলে নৌবাহিনীর সক্ষমতার দিক থেকে মিয়ানমারের থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে বাংলাদেশ। কারণ মিয়ানমারের সাবমেরিন নেই।

sub bd

এ অঞ্চলে মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সাবমেরিন নাই। তবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইরান ও ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিন আছে।

গত বছর ২২ ডিসেম্বর ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে বাংলাদেশের প্রথম দুই সাবমেরিন চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এই সাবমেরিনগুলো বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

১২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে চীনে নির্মিত দু’টি সাবমেরিন ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’র কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম ঈশা খাঁ ঘাঁটির জেটিতে এই অনুষ্ঠান হয়।

চীন থেকে কেনা ০৩৫ জি ক্লাসের এ দুটি সাবমেরিনে থাকছে নানা সুবিধা। শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনে আক্রমণ করার সক্ষমতা রয়েছে টর্পেডো ও মাইন দিয়ে সু-সজ্জিত এই সাবমেরিনগুলোর।

বাংলাদেশের ওই সাবমেরিনকে ‘সাব-সারফেস কিলার’ বলা হয়। কারণ এটিকে সহজে চিহ্নিত করা যায় না। এ ধরনের সাবমেরিন একটানা এক মাসেরও বেশি সময় পানির নিচে থাকতে পারে।

এগুলো ডিজেল ইলেক্ট্রিক সাবমেরিন। যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার এবং প্রস্থে ৭.৬ মিটার। নৌবাহিনীতে এগুলো যুক্ত হওয়ার ফলে বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত সাগর এলাকা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাহারা দেওয়া এবং যে কোনও শত্রুকে মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত