প্রকাশিত: ০৫/১১/২০১৯ ১০:১৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক::
রোহিঙ্গা আসার পর ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়দের জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে অান্তজার্তিক এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন। কিন্ত তাদের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে সংস্থার কিছু  কর্মকর্তা কর্মচারী। বিশেষ করে নগদ টাকার প্রকল্পগুলোতে চলছে বিশেষ বিশেষ দূর্নীতি। এমনই একটি মহৎ প্রকম্প বয়স্ক ভাতা প্রকল্প। এ বয়স্ক ভাতা প্রকল্পে ১২ মাসে ওয়ার্ল্ড ভিশন থেকে ৬ হাজার টাকা পাওয়ার কথা থাকলে কর্মরত সুপারভাইজার আনিকা ও  চৌকিদার নুর মোহাম্মদের যোগসাজশে বয়স্ক অসহায় মহিলারা পাচ্ছেন ক্ষেত্র বিশেষে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার  ৫ শ টাকা। বয়স্ক মহিলারা বলেছেন, চৌকিদার নুর মোহাম্মদ ওয়ার্ল্ড ভিশনের সংশ্লিষ্ট এলাকার  সুপারভাইজার অনিকার নাম দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে এসব অর্থ।
এ সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজাপালং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের জাদিমুরা ও বটতলী গ্রাম পরিদর্শন করে  ওয়ার্ল্ড ভিশন থেকে বয়স্ক ভাতা পেয়েছে এমন প্রায় ২০ জন বয়স্ক নারীর সাথে কথা হয়। কেউ বলেছেন, তালিকায় নাম থাকলেও টাকা দিতে না পারার ফলে তাদের অাইডির ফটোকপি দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে চৌকিদার নুর মোহাম্মদ ও সুপারভাইজার।  আবার অনেকে পুরো  ১২ মাসে ৬ হাজার টাকা পেলেও পরবর্তিতে রাতে বাড়ীতে এসে চৌকিদার নুর মোহাম্মদ ১ হাজার, দেড় হাজার টাকা সুপার ভাইজারকে দিতে হবে বলে নিয়ে গেছে।
এ সময়  জামতলী গ্রামের মৃত শফিক আহামদের স্ত্রী গোল বানু (৬০) বলেন, আমাকে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, বাকী টাকা নিয়ে গেছে নুর মোহাম্মদ।  সে বলেছে সুপারভাইজার ম্যাডামকে টাকা দিতে হবে, না দিলে পরবর্তিতে আর টাকা পাওয়া যাবেনা ।
 একই গ্রামের মৃত রমজান আলীর স্ত্রী  রশিদা খাতু (৫৫) জানান, আমার নাম লিষ্টে থাকার পরও তাদের চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় আমাকে টাকা দেয় নাই।
এমন অভিযোগ বটতলী গ্রামের মৃত কাসেম আলীর স্ত্রী  টুইন্না বিবি(৫০), একই গ্রামের মৃত রশিদ আহামদের স্ত্রী নুর জাহান সহ অনেকের।
এ ব্যাপারে জানতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের বয়স্ক প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট এলাকার সুপার ভাইজার আনিকার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার (01911713925) নাম্বারে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি দ্রুত মোবাইল কেটে দেন।

পাঠকের মতামত

দেশে মাদকদ্রব্যের ব্যবসায় জড়িত শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১০ গডফাদারকে আইনের আওতায় এনেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ ...