প্রকাশিত: ১৫/১০/২০১৮ ৮:৫৫ এএম

নিউজ ডেস্ক::
হাসপাতালে প্রায় দুই বছর ধরে চিকিৎসাধীন অসহায় গৃহবধূ ময়না বেগমের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন।

রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় চিলমারী হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ রোগীর খোঁজখবর নেন ডিসি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিলুফা ইয়াসমিন, সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার (বীরবিক্রম), কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহসান হাবীব নীলু ও চিলমারী হাসপাতালের আরএমও ডা. মোস্তারী বেগম প্রমুখ।

জানা যায়, ময়না বেগম জটিল ও কঠিন রোগে ভুগছিলেন। দুই বছর আগে ময়নার স্বামী তারেক রহমান মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এরপর চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের গয়নার পটলচরে থাকা ময়নার বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে অসুস্থ ময়না বেগমকে তার দিনমজুর ভাই আব্দুল গফুর আশ্রয় দেন।

এরপর প্রায় দুই বছর আগে ময়নাকে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে কিছুদিন পর ময়নার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দেন তার ভাই।

পরে বিনা ওষুধে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন ময়না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন অসুস্থ ময়নাকে দেখতে যান। এ সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পুনর্বাসনের জন্য ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।

চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান মুকুল বলেন, বর্তমানে ময়না বেগম অনেকটা সুস্থ। জেলা প্রশাসকের প্রতিশ্রুতিতে দু-একদিনের মধ্যে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বলেন, ময়না বেগমের অসুস্থতার খবর পেয়ে দেখতে যাই। বিষয়টি নিয়ে কুড়িগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। সেই সঙ্গে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ময়নার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ময়না সুস্থ হলে তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

পাঠকের মতামত