প্রকাশিত: ১৩/০৬/২০১৮ ৮:৩৮ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৫৬ এএম

বিশেষ প্রতিনিধি::
গত চারদিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গড়ে ১৩৮ মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হয়েছে, যাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর স্বাভাবিক জীবন। টয়লেট ও খাবার পানির গভীর সংকটে জীবন-যাপন করছেন তারা। জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইএফআরসি তার ডিআরইএফ তহবিল থেকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক সরবরাহ করেছে।

বুধবার (১২ জুন) ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্ষা মৌসুম শুরু হবার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গত ৯ জুন থকে ১৩৮ মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হয়েছে। একইসঙ্গে সেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে পানিবাহিত রোগের প্রার্দুভাবও বেড়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও অফিসিয়ালি প্রকাশ করা হয়নি। তবে রেডক্রস এবং রেডক্রিসেন্ট কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু এলাকা বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। আর এতে করে ক্যাম্পগুলোর ৬ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ কঠিন সংকটের ভিতর দিয়ে সময় অতিবাহিত করছেন। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিতে নড়বড়ে হয়ে থাকা পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানের ভূমি ধস হয়। এতে ক্যাম্পের অসংখ্য টয়লেট নষ্ট ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ বিষয়ে আইএফআরসির কক্সবাজার উপ অফিসের প্রধান সঞ্জীব কাফে বলেন, আকস্মিক ঢলের সঙ্গে পাহাড় থেকে ময়লা কাঁদা-মাটি ও আবর্জনা মিশ্রিত পানি দ্রুত গতিতে নিচে নেমে আসে। পাহাড়ি ঢলের পানি, কাঁদামাটি ও টয়লেটের ময়লা একসঙ্গে মিশে ঢালু স্থান বেয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসার কারণে নিচে থাকা রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী বসবাসের স্থানগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বর্ষা শুরু হওয়ার পর পানিবাহিত রোগসমূহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ডায়রিয়াসহ তীব্রভাবে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ‍বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রোগসমূহের প্রাদুর্ভাব খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যা এখন আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনেক জায়গায় বালুরবস্তা ও প্রতিরোধক দেয়াল ধসে পরা বিভিন্ন উদ্ভিদ ও গাছের সঙ্গে নেমে আসা কাঁদা-ময়লা মেশা পানি ঠেকাতে পারেনি। ফলে সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেহেতু পাহাড় ধসের আশঙ্কা ও পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, এই ধস হলে বিপুল পরিমাণ জীবন ও স্থাপনার ক্ষতি হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। বায়ু ও বৃষ্টি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাহায্য করার জন্য, সোমবার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, আইএফআরসি এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি সরঞ্জাম, দড়ি, তরমুজ এবং অন্যান্য উপকরণসহ জরুরি আশ্রয় মেরামতের কিট বিতরণ শুরু করেন।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় বাজার নিলামে নিয়ে বিপাকে ইজারাদার : হাসিল তুলতে বাঁধা, চাঁদা দাবী!

কক্সবাজারের উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া বাজাতে বেড়েছে স্থানীয় চাঁদাবাজ চক্রের উপদ্রব। তাদের হাত থেকে রেহাই ...

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...