প্রকাশিত: ২৪/১১/২০১৬ ৭:৫১ এএম
সন্তান হারিয়ে এক রোহিঙ্গা দম্পতির আহাজারি

teknaf-pic-majoma-610x380-300x187রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্ভোগের অন্ত নেই।জলে কুমির ডাংগায় বাঘ।আজকে দুটি ঘটনা আমাকে ভীষণ ব্যতিত করেছে।নিরবে কিছুক্ষন অশ্রু বিসর্জন দিয়ে মনটাকে হাল্কা করার ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছি। প্রথম ঘটনা হচ্ছে আজকে মংডুর রামাবাইল্লা নামক গ্রামে মিয়নমার বর্বর মিলিটারী হানা দেয়।এখন স্বভাবত: সব রোহিঙ্গা পল্লিই থাকে পুরুষশুন্য কারণ পুরুষ দেখামাত্রই আগে গুলি পরে কথা আর মহিলারা ও নিরাপত্তার ভয়ে এক জায়গায় জড়ো হয়ে থাকেন।মিলিটারী এসেই শুরু করে মারধর ও পালাক্রমে গণধর্ষন।মহিলারা কান্নাকাটি শুরু করলে ৪৫ বয়সী এক মহিলাকে মেরে মাথা থেতলে দেয়।যাওয়ার সময় মিলিটারী তাদের বসের জন্য মিলিটারী ক্যাম্পে ২ জন যুবতীকে সংগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।এতে মহিলারা মিলিটারীর পায়ে পড়ে অনুনয় করলে আরেকদফা মারধর করে চলে যাওয়ার সময় পরিধেয় ও শীতবস্ত্র গুলোতে আগুন দেয়,ঘরে থাকা খাবারের চাল গুলো বাহিরে ফেলে দিয়ে চলে যায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি বড়ই বেধনাবিধুর এবং নির্মম পার্শ্ববর্তী মুসলিম দেশ হিসেবে যা কল্পনা করতেই গা শিউরে ওঠে।গত কদিন ধরে একটা খবর কানে আসছিল সত্যতা জানতে আজ টেকনাফে কর্মরত জনৈক সংবাদ কর্মিকে ফোন দিলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার নামক গ্রাম দিয়ে আরাকান থেকে পালিয়ে আসা কিছু রোহিঙ্গা শিশু ও মহিলাদের স্হানীয় বখাটেরা আটক করে দুজন রোহিঙ্গা যুবতীকে নির্জন এলাকায় নিয়ে উপর্যপুরী ধর্ষন করে।মুমূর্ষ অবস্হায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে হতভাগীনিরা মারা যান।কাফিরদের হাতে ইজ্জত গেলেও প্রাণ বেঁচে গিয়েছিল সে সম্ভ্রম রক্ষা করতে মুসলিম দেশে এসে প্রাণটা দিতে হল

ফেইসবুক থেকে সংগৃহিত
ফেইসবুক থেকে সংগৃহিত

আমার অবলা বোনদের।শুনেছি ঘটনা প্রশাসন জানতে পেরেছে এবং অপরাধীরাও চিন্হিত হয়েছে তবে বাদী না থাকায় মামলা হয়নি।হয়ত ঐ আদালতেই মামলা হবে যেখানে বাদীর প্রয়োজন হবেনা।মিয়ানমারে কাফের হাতে ধর্ষনের পর হত্যার ঘটনা অহনিশী ঘটছে কিন্তু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যখন আশ্রয় নিতে আসা মুসলিম দেশে হয় কষ্টটা তখন রাখার জায়গা থাকেনা। ২০১২,মিয়নমারের গণহত্যা শুরু হলে সাগর পথে আকিয়াব থেকে একটি নৌকাভর্তী রোহিঙ্গা নারী শিশুরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাংলাদেশের দিকে আসলে বিজিবি তাদের সাগরে ঠেলে দেয়।আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গারা কিছুদূর গিয়ে রাতের আধাঁরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।এরই মাঝে শাহপরীরদ্বীপ থেকে কিছু যুবক ট্রলারে করে গিয়ে ছয়জন মহিলাকে ধর্ষণ করে এবং লুটপাঠ করে।আজকে শাহপরীরদ্বীপ সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে,বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যান্যএলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শুনে ঐ ঘটনার কথা মনে পড়লো।যে লোকালয়ের বাতাসে অবলা নারীর চিৎকার আহাজারী আছে সে লোকালয়ের বাতাস বিষাক্ত।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...