প্রকাশিত: ১৮/০৪/২০১৯ ৭:০৫ এএম , আপডেট: ১৮/০৪/২০১৯ ৯:১১ এএম

টেকনাফ প্রতিনিধি
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে অপহৃত বাংলাদেশি জেলেরা এক দিন পর ফিরেছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়া দিয়ে ট্রলারসহ তারা ফিরে আসেন। তবে মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরেছন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মিয়ানমার বিজিপির পক্ষ থেকে অস্বীকার করে আসছিল বলে জানিয়েছিলেন টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার।

জেলেদের ফেরত আসার বিষয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে তিনি জানান।

ফিরে আসা জেলেরা হলেন- আজিম উল্লাহ মাঝি, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, আবুল কালাম ও মোহাম্মদ হাসান। তারা সবাই টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে মোহাম্মদ হাসান পুরনো রোহিঙ্গা। তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফে আশ্রয় নেন।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘নাফনদীতে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের বিজিপির হাতে আটক জেলেরা রাতে ফিরেছে বলে স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। হয়তো টাকা বিনিময়ে তারা ফিরেছেন।’

ট্রলারের মালিক আমান উল্লাহ জানান, ‘নাফনদী থেকে তার ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা ফিরেছেন।’ এর আগের দিন অপহৃত জেলেদের ছাড়তে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল বলে অভিযোগ তার।

স্থানীয়রা জানায়, নাফনদীতে মাছ শিকারের সময় ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরার রাতে ফিরেছে। তারা টাকার বিনিময়ে ফিরে এসেছে। তবে টাকার পরিমাণ জানা নেই। এর আগে মঙ্গলবার সকালে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আমান উল্লাহর মালিকাধীন একটি ট্রলারে করে চার মাঝিমাল্লাহ নাফনদীতে মাছ ধরতে যান। কিছুক্ষণ পর মিয়ানমার থেকে একটি স্পিড বোট যোগে এসে বিজিপি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...

লাইসেন্সের কোন কাজ নেই, টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না!- উখিয়ার ব্যবসায়ী সাদ্দাম

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী ...