প্রকাশিত: ১৬/০৭/২০১৮ ৭:১৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৩৯ এএম

ঢাকা : যেসব গ্রাহকের একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে বিকাশ। এতে করে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগ, কোনো ধরণের পূর্ব নোটিশ বা প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, শনিবার দুপুর থেকে বিকাশ কর্তৃপক্ষ এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। তবে পূর্ব নোটিশ ছাড়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিকাশ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ জার্নালকে জানায়, বিকাশের সেন্টার বা বিকাশ প্লাসের নির্দেশনা অনুসরণ করে একাউন্টটি আবার আগের মত ব্যবহার করা যাবে।

গ্রাহকরা অভিযোগ করে জানান, এক সময় একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা যেত। কিন্তু হঠাৎ করেই বিকাশ কর্তৃপক্ষ শুধু অধিক সচল অ্যাকাউন্টটি রেখে বাকিগুলো নোটিশ ছাড়াই বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি টাকা থাকা অবস্থায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ফলে শনিবার দুপুর থেকে হঠাৎ করে গ্রাহকরা বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্টে থাকা আর টাকা তুলতে পারছেন না।

টাকা তুলতে না পেরে অনেক গ্রাহক বিকাশের সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে তাদের টাকা তোলা বা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানার জন্য এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়।

একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, তার দুটি হিসাবের মধ্যে একটি হিসাব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জয়পুরহাট সদর থানার এক ফার্মেসির দোকান মালিক শাহীন আলম জানান, কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা থাকা অবস্থায় তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয় মোবাইল ব্যাংকিং বিষয়ক একই কোম্পানিতে কোনো গ্রাহক একাধিক অ্যাকাউন্ট রাখতে পারবে না। এসবের মধ্যে একটি হিসাব সচল রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গি অর্থায়ন, হুন্ডিসহ নানা অভিযোগ উঠায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে বিকাশ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে জানায়, বন্ধ হওয়া একাউন্টে থাকা টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহকরা। এ জন্য কিছু নিয়ম বলে দেয়া হয়।

বিকাশ কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, বন্ধ হওয়া একাউন্ট বা একাউন্টগুলোর সিম কার্ডের মালিকানা ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই সাপেক্ষে একাউন্টটির তথ্য হালনাগাদ করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে হালনাগাদকৃত একাউন্ট সমূহে টাকা ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তাছাড়া, বন্ধ একাউন্টের সাপেক্ষে মূল ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রদর্শন ও তা যাচাই করে পূর্বের ব্যাল্যান্স ফেরত প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। এ ব্যাপারে নিকটতম বিকাশ সেন্টার অথবা প্লাসে গিয়ে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়।

বিকাশ লিমিটেডের পাবলিক রিলেশন্সের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সর্বশেষ যে বিকাশ একাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে তা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের পিএসডি সার্কুলার অনুযায়ী একজন ব্যক্তি কোন এমএফএস প্রোভাইডার এর সাথে একাধিক মোবাইল হিসাব চলমান রাখতে পারবেন না। সে প্রেক্ষিতে কোন গ্রাহকের একই জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড বা অন্য কোন পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক মোবাইল হিসাব থাকলে একটি হিসাব চালু রেখে অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তার মধ্যে যে হিসাবটিতে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে তা চালু রেখে অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করা হবে।

পাঠকের মতামত

টেলিটকের ৪৮ লক্ষ গ্রাহকের সমস্যা দূর করার জন্য যাদুকরি পদক্ষেপ : পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক বলেছেন, জীবন কানক্টেভিটি হবে বিটিসিএলর লাইফ ...