প্রকাশিত: ১৮/০৯/২০২১ ১০:২৩ এএম

একটি যাত্রীবাহী বাসকে বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীতমুখী অপর বাসের নিচে পড়ে মৃত্যু হয় ওই ৩ স্কুলছাত্রের

বরিশালে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে বাসে নিচে পিষ্ট হয়ে সহপাঠী তিন স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই এবং আরেকজন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দশটার দিকে মারা যান বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে বরিশাল নগরীর শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর পাদদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- বরিশাল বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুমন হাওলাদারের ছেলে মো. সিয়াম (১৬), পৌর শহরের কাঠেরপুল এলাকার জয়দেব দাসের ছেলে চয়ন দাস (১৬) ও উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বড়িয়া এলাকার নজরুল হাওলাদারের ছেলে মো. রাব্বি (১৬)। ওই তিন কিশোর বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের জীবন সিংহ ইউনিয়ন (জেএসইউ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আহতদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহাতাব হোসেন দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুর ঢালে মোটরসাইকেলটি বেপরোয়া গতিতে একটি যাত্রীবাহী বাসকে ওভারটেক করছিল। তখন বিপরীত দিক থেকে আরেকটি বাস এসে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলে থাকা তিন কিশোর গুরুতর আহত হয়।

নিহতদের বন্ধু রাকিব ও তপু জানান, আমরা বাকেরগঞ্জ জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র, ৬টি মোটরসাইকেলে ১৮ জন মিলে বরিশালে ঘুরতে আসি। ব্রিজে ওঠার সময় একটি বাস এসে চয়ন, সিয়াম ও রাব্বিকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।

শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানিয়েছেন নিহতদের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহতদের বন্ধু রাকিব ও তপু জানান, আমরা বাকেরগঞ্জ জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র, ৬টি মোটরসাইকেলে ১৮ জন মিলে বরিশালে ঘুরতে আসি। ব্রিজে ওঠার সময় একটি বাস এসে চয়ন, সিয়াম ও রাব্বিকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।

বরিশাল বন্দর (সাহেবেরহাট) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চয়ন ও সিয়ামকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতালে রাত দশটার দিকে রাব্বিরও মৃত্যু হয়।

ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, বাকেরগঞ্জ থেকে ছয়টি মোটরসাইকেলে করে ১৮ জন কিশোর বরিশালে ঘুরতে এসেছিল। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরে নগরীর রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে রাতুল-রোহান নামে যাত্রীবাহী বাসটিকে আটক করা হয়েছে। চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে

পাঠকের মতামত