উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী হিসেবে পরিচিত অং সান সুচি বলেছেন, পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের কেউ ফিরে আসতে চাইলে তাদের সাদরে গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাখাইন প্রদেশে মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগতভাবে নিধন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
বিবিসি-কে দেয়া সাক্ষাতকারে দেশটির রাখাইন রাজ্যে চলমান সমস্যার কথা স্বীকার করে মিজ সুচি বলেন, “রাখাইন প্রদেশে যথেষ্ট বৈরিতা রয়েছে, মুসলমানরাই মুসলমানদের হত্যা করেছে”। তবে তার মতে, একটি জাতিকে ‘নিধন’ করা হচ্ছে শব্দটি সেখানকার পরিস্থিতির জন্য বেশি কঠিন।
এ বছর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের নেতা সুচি।
তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, মানবাধিকার রক্ষার দূত এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী হয়েও সূচী ব্যর্থ হয়েছেন নিজের দেশে রোহিঙ্গাদের নির্মূলে বাধা দিতে- তখন তিনি এই অভিযোগ এড়িয়ে যান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সেখানে নানা বিভক্তি রয়েছে মানুষের মাঝে এবং আমরা সেটাই কমানোর চেষ্টা করছি।
দীর্ঘ সাক্ষাতকারে সুচি এই বিষয় নিয়ে তার মতামত তুলে ধরে বলেন, সেখানে অক্টোবরে পুলিশের ওপর হামলা থেকেই সবকিছুর সূত্রপাত। এরপর সামরিক বাহিনী বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করে।
এর আগে রাখাইন রাজ্যে মুসলমানদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ না খোলায় বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছেন মিজ সুচি।
সে প্রসঙ্গে তার জবাব, তিনি মার্গারেট থ্যাচার কিংবা মাদার টেরিজা নন। তিনি শুধুই একজন রাজনীতিবিদ। তবে, সবকিছু পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘের সাবেক প্রধান কফি আনানকে আবারো রাখাইন রাজ্যে আমন্ত্রণ জানান।
পাঠকের মতামত