প্রকাশিত: ২০/০৪/২০২১ ৪:০৪ পিএম

লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়লেও মানুষের মধ্যে বাড়েনি সচেতনতা। সর্বাত্মক লকডাউনের সপ্তম দিনে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের পরিবহন চলছে পুরোদমে। সেইসঙ্গে নানা অজুহাতে চলছে সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত। রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে সর্বাত্মক লকডাউনের এদিনে দীর্ঘ গাড়ির সারির দেখা গেছে।

দিনের শুরুতেই রাস্তায় গণপরিবহণ ছাড়া সব যানবাহনই চোখে পড়ার মতো রয়েছে- সেইসঙ্গে বেলা যত বেড়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাড়ি। সবার যুক্তি এক- জরুরি কাজ আছে। এমনকি ভিআইপি সড়কে নেমেছে রিকশাও। মানুষ ও পরিবহন সামলাতে নাভিশ্বাস পুলিশের।

কোথাও আবার নজরদারি কম লক্ষ্য করা গেছে। তেমনি একটি এলাকা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী। এখানে রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভিড় দেখে চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা হবে যে কারও। অনেকে আবার বেরিয়েছেন দূরের পথের উদ্দেশে; এমন অনেক মানুষেরও সন্ধান পাওয়া গেছে।

আবার সড়কে বের হওয়া মানুষই বলছেন, এভাবে লকডাউন হলে সংক্রমণ কমবে না। বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছেন না যারা তারাই আবার বলছেন, লকডাউন মানানো কেবল সরকার বা পুলিশের কাজ নয়, দরকার সব নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এমন অনেক বাণী শোনা যায় রাস্তায় যারা বেরিয়েছেন তাদের মুখে।

এদিকে, চলমান লকডাউন এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন বহাল থাকবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় লকডাউনে আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইট চলাচল, ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ আগের সব বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিবদের সভায় করোনার ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।

আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান লকডাউন অব্যাহত থাকবে সোমবার এ কথা জানিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ২২ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে সবাইকে।

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...