প্রকাশিত: ০৮/০৮/২০১৯ ১০:০০ এএম


পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শেরপুরে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও যশোরে এক যুবক এবং বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ‘সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলেছে, শেরপুরে নিহত যুবক মাদক কারবারি এবং যশোর ও শেরপুর উপজেলায় নিহতরা সন্ত্রাসী ছিলেন। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট কড়ইতলা এলাকায় নিহত রুহুল আমিন রিপন (৩০) জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নীলক্ষিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটিতে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরে নিহতরা হলেন—গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাচদহ গ্রামের মন্টু সরকারের ছেলে ধনেশ ওরফে সুকুমার (৩৮) ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহিমাল গ্রামের রজব আলীর ছেলে আফজাল (৫৫)। যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া এলাকায় নিহতের নাম শিশির ঘোষ (৩২)। তিনি যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার নিত্য ঘোষের ছেলে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

শেরপুর : পুলিশ জানায়, বন্দুকযুদ্ধের সময় জেলা গোয়েন্দা শাখার এক এএসআইসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত এএসআই আরিফুল হক আকন্দ (৩৫), কনস্টেবল মো. রুবেল মিয়া (২৫), হারুনুর রশিদ (২৭) ও সোলায়মান মিয়া (৩০) জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত রুহুল আমিন রিপনের লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার সকালে শহরের পশ্চিম গৌরীপুরে পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই ভাড়া বাড়িতে এটিএসআই আনোয়ার হোসেনকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর পুলিশ মীরগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় চিরুনি অভিযান চালায়। অভিযানকালে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে মীরগঞ্জসংলগ্ন ধোপাঘাট এলাকায় দুর্বৃত্তরা পুলিশের ওপর গুলি ছুড়লে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ এক যুবকের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

যশোর : পুলিশ জানিয়েছে, নিহত শিশির ঘোষ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাতে শহরের শংকরপুর মুরগির ফার্ম এলাকা থেকে চারটি ককটেলসহ শিশিরকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কাছে আরো অস্ত্র, বোমা থাকার কথা স্বীকার করলে তাঁকে নিয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। রাত ৪টার দিকে মাহিদিয়া এলাকায় পৌঁছলে শিশিরের সহযোগীরা পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় শিশির গুলিবিদ্ধ হন।

ধুনট (বগুড়া) : বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, রাত দেড়টার দিকে ভবানীপুর বাজারের পাশে একটি সেতুর ওপর দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পায় পুলিশ। পরে শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবিরসহ একটি টহল দল, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমান ও তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটারগান, একটি পাইপগান ও দুটি গুলি জব্ধ করেছে পুলিশ। নিহত ধনেশ ওরফে সুকুমারের বিরুদ্ধে ১১টি ও আফজালের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাথরুমে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হল নার্স মিনারার কোলে

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাথরুম থেকে উদ্ধার হওয়া ২ দিনের ফুটফুটে নবজাতককে দত্তক নিলেন ...

ঈদগাঁওতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ইউপি নির্বাচনে কারসাজি ও দুর্বৃত্তায়ন সহ্য করা হবেনা

আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেছেন, দীর্ঘ আট বছর পর ...