প্রকাশিত: ২৬/০৫/২০১৯ ৩:৩৯ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
মানবপাচার চলছেই। বেকারত্ব আর অভাবের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত হচ্ছে মানুষ। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি এখনো অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড পাড়ি দিতে গিয়ে বড় ট্রলার ভর্ত্তি কয়েক শ মানুষ গত ১৫ দিন ধরে বঙ্গপোসাগরে ভাসছ। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে ফিরে আাসা একাধিক জেলে এ দাবী করছে। কক্সবাজারে এলাকার ওই দুই জেলে জানায়, দালালদের মাধ্যমে সমুদ্র পথে তারা থাইল্যান্ড ও মালয়শিয়া যাচ্ছিলেন।

 রাজধানী থেকে গ্রামাঞ্চলে সক্রিয় মানবপাচারকারী চক্র
 মামলা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাঘব বোয়ালরা
 বেকারত্ব ও অভাবের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথ বিদেশ পাড়ি

অন্যদিকে নৌবাহিনী সদর দপ্তর বলছে, এ ধরনের কোন তথ্য তাদের জানা নেই। তবে কয়েক দিন আাগে সমুদ্র থেকে বিদেশগামী ট্রলার থেকে কোর্সগার্ড কিছু লোককে উদ্ধার করেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র মতে, গত ৭ বছরে ২ হাজার ৭৩৫ বাংলাদেশি সাগর পথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে স্থল ও নৌ- সীমান্তে পাচার হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশর কারাগারে আাটক আছেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশী। ভারত, পাকিস্তান, মালয়শিয়া থাইল্যান্ড ও মধ্যপ্রাচ্যরে বিভিন্ন কারাগারে আটকা পড়ে আাছে ১০ হাজারের বেশী। এদের মধ্য ৬ হাজার ৩৭০ জনই শিশু ও নারী।

মানবপাচার সংক্রান্ত ঘটনায় ২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মামলা হয়ছে ৫হাজার ৪৫৩টি। তবে অধিকাংশ মামলার কার্য়ক্রম শুরুই হয়নি। অন্যদিক মানবপাচার ও সংক্রান্ত মামলার ঘটনা বেরেই চলছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৫০ জন বাংলাদেশী নাগরিক পাচারের শিকার হয়েছেন। তন্মধ্যে ৬ হাজার ২৭০ জন উদ্ধার হয়েছেন। জাতীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে এসব তথ্য জানা গেছে। ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান দফতর ইউরোস্ট্যাট-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৮পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশী ইউরোপের দেশগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন।

এ বছরের শুরুতে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ দাবি করেছে। প্রতি বছর ভারতে বাংলাদশ থেকে গড়ে ৫০ হাজার নারী পাচার হয়। বছর তিনেক আগেও সাগর পথ দিয়ে হাজারো মানুষের মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আলোচনা ছিল। আবারও মিয়ানমারের বিপুল সংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফলে পাচারের ঝুঁকি থাকছেই। সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ আইন করলেও তার প্রয়োগ হচ্ছে না বলেই চলে। ‘ন্যাশনাল লেভেল শেয়ারিং ফর এডাপশন অব কমপ্রিহেনসিভ ল’ এগেইনস্ট ট্রাফিকিং ও রিফিউজি এ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে না পারলে বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার হারাতে হতে পারে।

সমুদ্রপথে টেকনাফ থেকে মালয়েশিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসন দেশের সার্বিক অভিবাসনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ভারত ও পাকিস্তানে বেশিরভাগ পাচার হচ্ছে নারী। এদের জীবন সবচেয়ে দুর্বিষহ। পাচারকারীরা সংশ্লিষ্ট দেশের দালালদের কাছে তাদের বিক্রি করে দেয়।

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সুত্র মতে, রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, গুলশান বনানী ধানমন্ডি এলাকাতে মানবপাচারকারী চক্রের রয়েছে শত শত বিলাসবহুল অফিস। এদের রয়েছে কয়েক হাজার দালাল। রাজধানী
থেকে গ্রাম এলাকা পর্যন্ত মানবপাচারকারীদের নেটওয়ার্ক রয়েছে। এসব দালালেরা নানা প্রলোভন দেখিয়ে বেকার সহজ সরল মানুষকে বিদেশে চাকুরীর নামে পাচার করছে।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...