প্রকাশিত: ১০/০৮/২০২২ ৫:০৫ পিএম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।

এই দাবিতে বুধবার (১০ই আগষ্ট) কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ছাত্রলীগ বলেছে, “দন্ড-প্রাপ্ত পলাতক আসামিদের ফাঁসি হয়ে যাওয়ার এত বছর পরও, দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারায় সমগ্র জাতির মতোই ছাত্রলীগ হতাশ ও চিন্তিত। তাই আমাদের বিশ্বাস দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের স্বঘোষিত খুনীদের দেশে এনে ফাঁসির মঞ্চে তুলে খুনের রাজনীতি বন্ধে পৃথিবীতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে আপনার মন্ত্রণালয়। ”

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার তখনকার জেলা ও দায়রা জজ ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় মৃত্যুদণ্ড দেন৷ আপিলের রায়ে তিনজন খালাস পান৷ বাকি ১২ জনের মধ্যে আজিজ পাশা পলাতক থাকা অবস্থায় দেশের বাইরে মারা যান বলে খবর বের হয়৷

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ, মহিউদ্দিন আহমদ, এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর হয় ঢাকার কারাগারে৷ সেসময় পলাতক ছিলেন ছয়জন৷

১০ বছর পর ২০২০ সালে ৭ এপ্রিল ভোরে পলাতকদের একজন ৭২ বছর বয়সি মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ ১২ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বাকি পাঁচজনের একজন রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ভারতে গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েছেন এমন সংবাদ বের হলেও তার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি৷

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছয়জনের এখন পর্যন্ত ফাঁসি হয়েছে৷ বাকি আছেন আরো পাঁচজন৷ তারা হলেন আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী৷ রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী ক্যানাডায় অবস্থান করছেন৷

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...